প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৯
ডায়াল সিলেট ডেস্ক:কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় গরু নিয়ে বিপাকে পুলিশ!
কানাইঘাটের বিভিন্ন দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা গরু ব্যবসার সাথে সীমান্ত এলাকার অধিকাংশ লোকজন জড়িয়ে পড়ায় গরু আটক করতে থানা পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। মূলত সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডারগার্ড বিজিবি কাজ করে থাকে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কানাইঘাটের কিছু সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা গরু ব্যবসার সাথে সবাই জড়িয়ে পড়ায় বিজিবি জওয়ানরাও এক ধরনের অসহায় হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় অনেক ক্ষেত্রে বর্ডার আইনে পুলিশ সেখানে অভিযান চালাতে পারে না। আর কানাইঘাটের বর্ডার এলাকা দুর্গম হওয়ায় চোরাকারবারীসহ স্থানীয় অনেকে এখন ভারত থেকে বিচ্ছিন্নভাবে গরু নিয়ে এসে ব্যবসা করছেন। গরু আটক করতে বিজিবি ও পুলিশ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করলেও এক্ষেত্রে স্থানীয় সীমান্ত এলাকার লোকজনের সহায়তা তারা পাচ্ছেন না। তারপরও বিজিবি ও পুলিশ বিভিন্ন সময় ভারতীয় গরু আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএমের দিক নির্দেশনায় কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম ভারতীয় গরু আটক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ভারতীয় গরু আটক করতে পুলিশ সীমান্তবর্তীসহ সড়কের বাজার এলাকায় নিয়মিত অবস্থানের কারনে উপজেলা সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সম্প্রতি সময়ে অবনতি হয়েছে। পুলিশ গরু ধরা অভিযানে ব্যস্ত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চুরিসহ ফৌজদারী অপরাধ কিছুটা বেড়ে গেছে।
কয়েক দিন ধরে চতুল ও গাছবাড়ী এলাকার মধ্যে একটি জলমহালের জায়গা নিয়ে প্রচন্ড বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষ বিল এলাকার জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠায় সেখানে বড়ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া উমাগড়, ভাটিদিহি ও ভাটইশাইল মৌজার লোকজনের মধ্যে হাওর এলাকার তাদের সম্প্রতি জায়গা দখল ও হিসাব নিকাশ নিয়ে মারামারিসহ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসব এলাকায় যেকোনো সময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
থানা পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে আইন শৃংখলা উন্নয়নের কাজ বাদ দিয়ে গরু আটক অভিযানে ব্যস্ত থাকায় চুরিসহ নানা অপরাধ ঘটছে। কয়েকদিনে থানা পুলিশ ৩২ টি ভারতীয় ছোট-বড় গরু আটক করেছে। গরুগুলো থানা বাউন্ডারীর বেষ্টনীতে রাখায় থানা পুলিশকে গরুর খাদ্য যোগাড়সহ নানা ধরনের দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি শামসুদ্দোহা।
তিনি বলেন, সীমিত সংখ্যক পুলিশ কি করে একা এসব গরু আটক করবে তারপরও পুলিশের সকল অফিসার ও সদস্য দৈনন্দিন আইন-শৃংখলার কাজ অনেক ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে গরু আটক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আটককৃত গরুগুলোর মলমূত্রের কারণে থানার পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। এসব গরু দেখা শুনার জন্য ৫/৬ জনকে রাখা হয়েছে। গরুগুলো থানা প্রাঙ্গণে অবাধ বিচরনের কারণে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া গরু নিলামের বিক্রির কোন ব্যবস্থা পুলিশ নিতে পারছে না পুলিশ। যার কারনে দীর্ঘদিন গরুগুলো থানা হেফাজতে রাখতে হচ্ছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech