প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২০
স্পোটর্স ডেস্ক:৩৪ বলে ৬৪ রান করেও খুলনা টাইগার্সকে জেতাতে পারলেন না মুশফিকুর রহীম। আজ বিপিএল’র ৩১তম ম্যাচে খুলনাকে ১২ রানে হারিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। ৯ ম্যাচে মুর্তজার ঢাকার সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। ৮ ম্যাচে মুশফিকদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৭২/৪ সংগ্রহ করে ঢাকা প্লাটুন। জবাবে ১৬০/৮-এ থামে খুলনা টাইগার্স। রান তাড়ায় দলীয় ২০ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় খুলনা। ৬ বলে ৪ রান করে মাশরাফির শিকারে পরিণত হন আমিনুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ বলে ১৫ রান করে বোল্ড হন হাসান মাহমুদের বলে। দলীয় ৩৯ রানে খুলনা হারায় শামসুর রহমানকে। ৮ বলে ৩ রান করে শামসুর আউট হন পাকিস্তানি লেগ স্পিনার শাদাব খানের বলে। দলীয় ৪৪ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন রাইলি রুশো। ১৩ বলে ১৮ রান করা রুশোর উইকেটটি তুলে নেন হাসান মাহমুদ। চাপের মুখে খুলনার হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক। আফগান তারকা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে মুশফিক গড়েন ৫৬ রানের জুটি। শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ৮২ রান। থিসারা পেরেরার করা ১৫তম ওভার থেকে আসে ১৩ রান। তবে ওই ওভারে সেট ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহকে হারায় খুলনা। ২৯ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শাদাব খানের করা ১৬তম ওভারে ৮ রান এলে খুলনার সামনে সমীকরণটা দাঁড়ায় ২৪ বলে ৬১ রান। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ২ ওভারে ৫ রান দেয়া হাসানের ওই ওভারে ১৩ খরচ করলেও তুলে নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ককে (৬)। ফাহিম আশরাফের করা পরের ওভারে ১২ রান নেন মুশফিক। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। প্রথম তিন বলে এক চার-ছয়ে ১২ রান তুলে নেন মুশফিক। চতুর্থ বল ডট। পঞ্চম বলে ফুলটস উড়িয়ে মারতে গিয়ে শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ৩৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার মার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান প্রয়োজন ছিল খুলনার। তবে থিসারা পেরেরার করা ওই ওভারে ৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা টাইগার্স। ওপেনারদের ব্যাট থেকে বড় ইনিংস আসেনি। তামিম ইকবাল ২৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন মোহাম্মদ আমিরের বলে। এনামুল বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৫ রান। তার উইকেটটি নেন শফিউল ইসলাম। ফর্মে থাকা মেহেদী হাসান টিকেছেন ৫ বল। ১ রান করে আমিনুল ইসলামের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৮.৪ ওভারে তখন ঢাকার সংগ্রহ ৬৩/৩। এরপর আরিফুল হককে নিয়ে জুটি গড়েন মুমিনুল হক। ৩৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে মুমিনুল আউট হন দলীয় ১১৮ রানে। ইনিংসের তখন বাকি ২১ বল। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আসিফ আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওই ২১ বল থেকে ৫৪ রান তোলে ঢাকা প্লাটুন। এর মধ্যে আসিফ আলী করেন ১৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রান। ২ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কা হাঁকান তিনি। আরিফুল হক ৩০ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। খুলনার হয়ে মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে লেগ স্পিনার আমিনুলের শিকার ২ উইকেট। জাতীয় দলের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ১৫ রান দেয়ার পর তাকে আর বোলিংয়ে আনার সাহস করেননি মুশফিক।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech