সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এই পরীক্ষা শুরু হয়। মোট সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থী প্রায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। সিলেট বোর্ড্সহ দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষার্বোড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতায় এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সারাদেশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হলেও এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিবে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৭২ জন। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার। এসএসসি পরীক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও।

এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতবার কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৩১টি। ফলে এবার কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ১৫টি। এর মধ্যে দেশের বাইরে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন কম। যদিও বেড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্র সংখ্যা। ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের বাইরেও। জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলী, দোহা, আবুধাবি, দুবাই ও বাহরাইন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৩১২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৮৬ জন ছাত্র, আর ১৫৬ জন ছাত্রী রয়েছে।

দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে আট লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন ছাত্রী এবং সাত লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র। মাদ্রাসা বোর্ডে এক লাখ ৩৪ হাজার ১৩৮ জন ছাত্র ও এক লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন ছাত্রী মিলিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওয়তাধীন এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন।

এবছর এসএসসি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারী শরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সরস্বতীপূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। যে কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি  সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা নিয়ে যেন কেউ গুজব ছড়িয়ে কাউকে প্রতারিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তাঁরা আশা করছেন, কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এবার সুচারুভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞে অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পুরো পরীক্ষা যেন অত্যন্ত সুচারু ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্ত অবস্থায় হয়, সে জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।

 

 

 

0Shares