প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০
ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক হিন্দু বৃদ্ধা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মারা গেছেন । করোনা আতঙ্ক ও লকডাউন থাকায় গাড়ির জোগাড় করা সম্ভব হয়নি সেইসাথে আসতে পারেননি বৃদ্ধার আত্মীয়-স্বজনরাও। তাই সেই বৃদ্ধার দেহ কাঁধে নিয়ে শ্মশানে চললেন প্রতিবেশী মুসলিম যুবকরা। বৃদ্ধার ছেলেদের সত্কারে সাহায্যও করলেন তারা। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই সম্প্রীতির এক অনন্য নজির দেখা গেল ভারতের এই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।
ভারতের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধা সোমবার মারা যান। তার মৃত্যুর সময় দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। অন্য শহরে কাজ করেন তারা। সেখানেই আটকে পড়েছিলেন। বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে কোনোরকমে বাড়ি আসেন তারা। কিন্তু তারপর দেখা যায় অন্য সমস্যা। লকডাউনের ফলে কোনো গাড়ির পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি মরদেহবাহী গাড়িও নেই। এই সময় এগিয়ে এলেন প্রতিবেশী মুসলিম যুবকরা।
মুসলিম যুবকরাই বৃদ্ধার দেহ কাঁধে করে আড়াই কিলোমিটার হেঁটে শ্মশানে পৌঁছান। করোনা আতঙ্কে ও লকডাউন থাকায় আসতে পারেননি বৃদ্ধার আত্মীয়-স্বজনরা। তাই এই মুসলিম যুবকরাই সত্কারের সব ব্যবস্থা করেন। বৃদ্ধার শেষকৃত্যে তার ছেলেদের সাহায্য করেন এই যুবকরা।
এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, মাথায় টুপি ও মুখে মাস্ক পরে বৃদ্ধার মরদেহ কাঁধে নিয়ে যাচ্ছেন মুসলিম যুবকরা। তাদের প্রশংসা করেন নেটিজেনরা। এই পরিস্থিতিতেও যে দায়িত্ববোধ তারা দেখিয়েছেন তার প্রশংসা করেন সবাই। প্রশংসা করেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও।
হিন্দিতে টুইট করে কমলনাথ বলেন, ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ যেভাবে কাঁধে করে মুসলিম যুবকরা নিয়ে গিয়েছেন ও শেষকৃত্যে বৃদ্ধার ছেলেদের সাহায্য করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এটাই ভারতের সত্যিকারের সংস্কৃতি। এই পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্মানই আমাদের ঐতিহ্য। এই ঘটনার পরে অবশ্য নিজেদের কাজকে মহান বলতে নারাজ ওই মুসলিম যুবকরা। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তারা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধাকে ছোট থেকে তারা চিনতেন। তাই এই অবস্থায় তার ছেলেদের সাহায্য করা নিজেদের কর্তব্য বলে মনে করেছেন তারা। সেই কর্তব্য পালনই করেছেন তারা।
সূত্র – কালের কন্ঠ
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech