জাতির পিতা ও তার সপরিবারের হত্যার মৃত্যুদন্ড আসামী মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

প্রকাশিত: ১:০৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২০

জাতির পিতা ও তার সপরিবারের হত্যার মৃত্যুদন্ড আসামী মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে কারা সূত্র।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য সময় নির্ধারণ করে বিকালে আদেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পর জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে ১০ জন জল্লাদ এ ফাঁসি কার্যকরে ভূমিকা রাখে । এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বজনদের সঙ্গে আব্দুল মাজেদকে শেষ সাক্ষাত করানো হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, শ্যালক ও চাচা শ্বশুরসহ পরিবারের পাঁচজন সদস্য দেখা করেন। তাদেরকে কারা কর্তৃপক্ষ ডেকে আনেন।

মাজেদের ফাঁসির মধ্য দিয়ে কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন ফাঁসির মঞ্চে ফাঁসি কার্যকর শুরু হলো।

প্রায় ২৩ বছর ধরে কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। করোনা পরিস্থিতে সম্প্রতি তিনি ঢাকায় আসেন। এরপর গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার পর রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর পর মাজেদ নিজের দোষ স্বীকার করে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। সেই আবেদন গত বুধবার রাতে খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি।

পরে তার ফাঁসির প্রক্রিয়া শুরু করে কারা কর্তৃপক্ষ। জল্লাদ শাহজাহানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। তার সঙ্গে আরো ১০ জন জল্লাদের একটি টিম তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ ১২টা ১মিনিটে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।পরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।পরে পরিবার তার মৃতদেহ ভোলায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো পালিয়ে আছেন। এঁদের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।

উল্লেখ্য  মাজেদের স্ত্রী চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ