দৈনিক হাজার মৃত্যুর মাঝেও বাচ্চাদের স্কুলে চান ট্রাম্প।

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

দৈনিক হাজার মৃত্যুর মাঝেও বাচ্চাদের স্কুলে চান ট্রাম্প।

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ::   যুক্তরাষ্ট্রে টানা চার দিন, হাজারেরও বেশি মৃত্যু। কিন্তু হোয়াইট হাউস বলেই চলেছে, ‘‘খারাপ সময় কেটে গিয়েছে।’’

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৯ জনের। তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার, ১ হাজার ১৪০ জন মারা গিয়েছেন। বুধবার ১ হাজার ১৩৫ জন, মঙ্গলবার ১ হাজার ১৪১ জন। শুক্রবার দেশে এক দিনে সংক্রমণ বেড়েছে ৬৮ হাজার ৮০০ জনে। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৪২ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যু দেড় লাখ ছুঁইছুঁই। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ক্যালিফর্নিয়া, ফ্লরিডা, টেক্সাস ও অ্যারিজ়োনার।

প্রেস সচিব কেলি ম্যাকেনানি জানান, স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, এ ভাবে গৃহবন্দি থেকে বাচ্চারা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বসন্তের সময়ে করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে তড়িঘড়ি সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে। অভিভাবক কিংবা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুল খোলার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত।
ম্যাকেনানি বলেন, ‘‘যদি পড়ুয়ারা সংক্রমিত হয়ও, আমাদের বিশ্বাস ওদের স্কুলে ফেরা উচিত। তা ছাড়া, বড়দের মতো প্রভাব বাচ্চাদের উপরে পড়ে না।’’

ম্যাকেনানি এ কথা বললেও হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্ক ফোর্স কিন্তু নিরুত্তর।

এই দলেরই আরেক সদস্য ডেবরা ব্রিক্স জানান, বাচ্চাদের উপরে করোনার প্রভাব এখনও অজানা। বিশেষ করে ১০ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের উপরে করোনার প্রভাব ঠিক কী, তা বড় প্রশ্ন। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গবেষণা রিপোর্ট দেখিয়ে ব্রিক্স বলেন, ‘‘এই রিপোর্ট অনুযায়ী দশের নীচে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ হার কম। তবে তার থেকে বড় পড়ুয়াদের শরীরে কিন্তু করোনা পূর্ণবয়স্কদের মতোই ক্ষতিকর।’’

করোনা-প্রশ্নে জর্জরিত ট্রাম্প আজ ওষুধের দাম কমানো সংক্রান্ত চারটি নিদেশিকায় সই করেছেন। কূটনীতিকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাবমূর্তি ঠিক করতে মরিয়া। নয়া নির্দেশিকায় ইনসুলিনের মতো জরুরি ওষুধও মানুষ কম দামে কিনতে পারবেন। ব্রিটেনে আজ বিশেষজ্ঞেরা একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, অতিরিক্ত ওজন করোনা-রোগীর বিপদ বাড়াচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞেরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের পরামর্শ, ‘‘পুরনো জীবনে আমরা আর ফিরতে পারব না। অতিমারি আমাদের জীবনযাপন বদলে দিয়েছে। সবাইকে বলছি, কোথায় যাবেন, কী করবেন, কাদের সঙ্গে দেখা করবেন, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। কারণ এর উপরে আপনার জীবন-মৃত্যু নির্ভর করছে।’’

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ