প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হালিমী নামক দুই নেতাকর্মীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের পাশাপাশি সন্দেহভাজন এক অপহরণকারীকে আটকও করেছে জালালবাদ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন জালালাবাদ থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অকিল উদ্দিন আহম্মদ।
ওসি অকিল উদ্দিন শ্যামল সিলেটকে বলেন, ‘সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমরা তাদেরকে উদ্ধার করি। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায় নি। অপহরণকৃতদের সাথে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।’
অপহরণকারী কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি।’
এদিকে সজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী এবং তারেক হালিমী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিনের অনুসারী।
শাবি ছাত্রলীগ সুত্রে জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইমরান আহমেদ শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হালিমী নিখোজের ঘটনায় জালালবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। জিডি নং ১১৭৯।
এ বিষয়ে ইমরান আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে সজিব ও তারেক বাসায় যায়। তার কিছুক্ষণ পর বাসায় রুমে ঢুকে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অভ্র নামক এ অপহরণকারী তাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়। এছাড়া ভয় দেখিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে তাদের বিরুদ্ধচারণ করতে বাধ্য করে। সজিবের এমন আচারণ কাম্য নয় এটা আমরা বিষয়টি উপলব্ধি করে ফেসবুকে এ ঘটনার পর তার আইডি হ্যাক হয়ছে উল্লেখ স্টাটাস দেয়।
ইমরান আহমেদ আরও বলেন, সজিবকে অপহরণ করে দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের কাছে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা সজিবের ফোন, মানিব্যাগ রেখে নরসিংদির বাসে টিকেট কেটে তুলে দেয়। সাথে এটাও বলে সে সিলেট না ছাড়লে তার বিপদ কিংবা প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে। পরে সজিব সুরমা বাইপাসের কাছে বাস থেকে নেমে সিএনজি অটোরিকশা চালকের মাধ্যমে থানায় ফোন দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।
‘পরে সজিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশ জানতে পারে তারেক হালিমী অপহরণকারীদের কাছে জিম্মি রয়েছে। খোজখবর নিয়ে রাতেই তারেক হালিমীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সাথে অভ্র কুমার দাশ নামে একজনকে পুলিশ আটক করে। এছাড়া মুন্না কোরায়েশী নামে আরও একজন এ অপহরণের সাথে জড়িত, তাকেও পুলিশ খুজছে।’
অপরদিকে সজিব ও তারেক হালিমের মেস নগরীর কোতোয়ালি থানাধীনে থাকায় সেখানেই মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরে আসামীসহ মামলাটি জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর হবে বলে জানান ইমরান আহমেদ।
এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ‘ঘটনাটি ন্যাক্যারজনক। ঘটনাটির সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
শাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পর প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছি। সজিব নিজেই মুক্ত হয়ে যোগাযোগ করেছে। আর তারেক হালিমীকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। আমি মনে করি এ ঘটনাটি বিশ^বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা চাই বিশ^বিদ্যালয়কে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে এবং যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে তাদেও মুল উৎপাটন করা উচিত।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech