ছাতকে জনতার হাতে ধরা খেয়ে কারাগারে দুই মোটরসাইকেল চোর

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০

ছাতকে জনতার হাতে ধরা খেয়ে কারাগারে দুই মোটরসাইকেল চোর

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

ছাতকে আন্ত:জেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্যকে হাতে-নাতে আটক করেছে জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলর গোবিন্দগঞ্জ মাছ বাজার এলাকায় ধাওয়া করে জনতা তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।

জানা যায়, ছাতক পৌরশহর, গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট, জাউয়াবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৫-২০টি মোটর সাইকেল চুরি হয়। মোটরসাইকেল মালিক অনেকেই থানায় জিডি করেছিলেন।মাঝে মধ্যে পুলিশ চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে একাধিক মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। কিন্তু চোর চক্রের সদস্যদের হাতে-নাতে গ্রেফতার না হওয়ায় চুরি হওয়া অসংখ্য মোটরসাইকেল এখনও উদ্ধার হয়নি।

অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে মোটরসাইকেল নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ মাছবাজারে মাছ ক্রয় করতে যান পার্শ্ববর্তী জালালপুর গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান। মোটরসাইকেলটি নির্মানাধীন আরসিসি রাস্তার উপর রেখে বাজারের মাছ গলিতে প্রবেশ করেন। কিছু সময় পর আন্ত:জেলার মোটর সাইকেল চোর চক্রের দু’সদস্য মাস্টার চাবি ব্যবহার করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় দিঘলী রামপুরের আনোয়ার হোসেন নামের একজন মৎস্য ব্যবসায়ীসহ উপস্থিত লোকজন ধাওয়া করে মোটরসাইকেলসহ দু’জনকে আটক করেন।

আটককৃতরা হলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে ফয়েজ আহমদ (২২) ও বিশ্বনাথ উপজেলার চান্দসীরকাপন গ্রামের মৃত আরিফ উল্ল্যার ছেলে সুজন মিয়া (২৮)। পরে জনতা গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় মোটর সাইকেলের মালিক জালালপুর গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ছাতক থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহসিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে অনটেষ্ট একটি মোটর সাইকেল ও মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।

0Shares