প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক;:
প্রবাসী কোটার লোক কমাতে কুয়েতের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। কোন দেশের কত মানুষ কুয়েতে থাকতে পারবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে দেশটির সরকারকে এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই আইনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল অঞ্চলের মানুষেরা।
নতুন আইনের খসড়ায় আগে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান এবং ভিয়েতনাম থেকে কুয়েতের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মাত্র ৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া যাবে। ভারতীয়রা ১৫ শতাংশ।
শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন এবং মিশর থেকে ১০ শতাংশ। এর বাইরে অন্য দেশ থেকে তিন শতাংশের বেশি কর্মী নেওয়া যাবে না।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতের বর্তমান জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৭০ হাজারের মতো।
খসড়ায় যে নির্দেশনার কথা বলা আছে, সেটি অবশ্য এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদি এটিই চূড়ান্ত হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ মানুষ দেশটিতে থাকতে পারবেন। আবার কোনো কোনো হিসাবে কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৪৮ লাখও বলা হয়। সেটি হলে ২ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি সেখানে থাকতে পারবেন। দেশটিতে এখন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশি আছেন।
গত জুনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কুয়েতে মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি প্রবাসী থাকতে পারবেন না। এখন আছে প্রায় ৭০ শতাংশ!
এই মুহূর্তে অতিরিক্ত যেসব প্রবাসী কুয়েতে অবস্থান করছেন তাদের বিষয়ে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। তবে জুলাইয়ের শেষ দিকে গালফ নিউজ জানিয়েছিল, আইন পাস হলে অতিরিক্ত কর্মীদের কুয়েত ছাড়তে হবে না। কিন্তু সংখ্যা কোটায় না আসা পর্যন্ত কোনো কোম্পানি নতুন নিয়োগ দিতে পারবে না।
কোটা পূরণ হওয়ার পর কোম্পানিগুলো বেশি লোক নিলে দশ বছরের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে আইনে। থাকবে বড় অঙ্কের জরিমানাও।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech