প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের হাসানুর রহমান (২৫), আবদুর রহিম (২২), সোহেল রানা (২০) ও মাইনুল ইসলাম (২৬)। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
শনিবার রাতভর পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ জনে।
এর আগ, ১৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার ৯ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ ছাড়া ঢাকায় গ্রেফতার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৪৫) পাটগ্রাম থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামিকে সোমবার (৯ নভেম্বর) আদালতে নিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এদিকে শনিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মসজিদের খাদেমসহ দুজন আমলি আদালত ৩-এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগমের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া রিমান্ড ছাড়াই জবানবন্দি দিয়েছেন আবদুল গণি নামে একজন।
উল্লেখ্য, নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ছিলেন।গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
গত ২৯ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার গুজব ছড়িয়ে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ধার্মিক ছিলেন জুয়েল। তিনি নিয়মিত মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। গুজব ছড়িয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech