কুমিল্লায় মাদকসেবীদের হামলার শিকার কোচিং এর শিক্ষক

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০

কুমিল্লায় মাদকসেবীদের হামলার শিকার কোচিং এর শিক্ষক

ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামে ‘কনফিডেন্স’ নামের এক কোচিং সেন্টারে  মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় অহিদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক মাদকসেবীদের হামলার শিকার হয়েছেন।

এ ঘটনায় শনিবার (৭ নভেম্বর) কোতয়ালী মডেল থানায় ৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপযুক্ত বিচার করার আশ্বাস দিলেও বিচার না পেয়ে তিনি এ মামলা করেন।

স্থানীয় সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের ‘ক্ষনিকালয়’ নামের একটি ভবনে একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে অহিদুল ইসলাম ‘কনফিডেন্স’ নামের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিল।

করোনার কারণে কোচিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগে সাম্প্রতিক সময়ে জাঙ্গালীয়াসহ বিভিন্ন স্থানের বেশ কিছু মাদকসেবী কোচিং সেন্টারটির পাশে মাদক সেবনের আখড়া বানায়। পরবর্তীতে মাদকসেবনকারীরা জোর করে পরিচালক অহিদের কাছ থেকে দুদফা চাবি নিয়ে কোচিং সেন্টারটির ভিতরে মাদক সেবন করে। এতে বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং কিভাবে কোচিং সেন্টারটি চালায় সেটা দেখে দেওয়ার হুমকীও দেয়।

পরবর্তিতে এরই জের ধরে গত ২১ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১০ টায় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে কালিরবাজারে যাওয়ার পথে মোবাইল ফোনে মাদকসেবীরা তাকে কোচিং সেন্টারের কাছে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাত কিছু লোকজন নিয়ে লাঠিসোঠাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলাসহ গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়।এতে অহিদুল শরীরের বিভিন্ন অংশছাড়্ওা মাথায় গুরুতর জখম হয়। এসময় তার চিৎকারে পথচারীসহ এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে কোচিং সেন্টারের অপর শিক্ষক অনিক সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার কিছু সময় আগে একই মাদকসেবীরা কোচিং সেন্টারটির তালা ভেঙ্গে নিজেরা অন্য একটি তালা ঝুলিয়ে দেয়।

হামলার পর তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অহিদের বড় ভাই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৭ নভেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় ৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, জাঙ্গালীয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৮), জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মাছুম (২২) ও ইছমাইল মাষ্টারের ছেলে শামীম (২৫)।

নাজিরাবাজারস্থ কোতয়ালী মডেল থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান রুবেল রবিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জানান, এ ঘটনায় মামলা এফআইআর হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেফতারেও চেষ্টা চলছে।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ