৩৫ বছর আগের ভূমির রায় পেল বন বিভাগ

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০

৩৫ বছর আগের ভূমির রায় পেল বন বিভাগ

৩৫ বছর আগের বন বিভাগের জায়গা অধীনে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট এলাকার প্রায় ১৩ হাজার একর ভূমি বন বিভাগের অধীনে এই জমি অধিগ্রহণ করেছিল এবং ১৯৮৫ সালে জারি করা গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৩৭ জন ব্যক্তি দুটি রিট আবেদন করেন। এতে আদালত আবেদনটি খারিজ করেন বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

সোমবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবেদকারীরা তারা নিজেদের মহাজির প্রমাণ করতে পারেনি। একই সাথে নিজেদের দাবিগুলো প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট এ রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
তিনি আরো বলেন, সিলেটের বনভূমির মত সারাদেশে আরো অবৈধভাবে বনভূমি দখল করে আছে অনেকে সেগুলোও মামলার তালিকা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিশাল বনভূমি জাগয়াটি বিভিন্ন স্থরের কুচক্রী মহল দখল করার চেষ্টায় তৎপর ছিল।অবশেষে এ রায়টি বন বিভাগরে পক্ষে রায় দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪৮-১৯৬৫ সালে আসাম ও ত্রিপুরা থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিবাসী হিসেবে সিলেট অঞ্চলে তারা অবস্থান নেন। তখন তাদের পরিচিতির জন্য মহাজির কার্ড দেয়া হয়। ১৯৫১ সালে তৎকালীন সরকার সিলেট অঞ্চলে তাদের জীবিকা নির্বাহ ও বসবাসের জন্য কিছু ভূমি বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু ১৯৮৫ সালের ২০ আগস্ট সরকার বনায়নের লক্ষ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার ১৩ হাজার একর ভূমি বন বিভাগের অধীনে ন্যাস্ত করে।

এর আগে এই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে আব্দুল মোতালেব, ওসমান আলীসহ ১৭০ জন এবং ২০১৪ সালে রফিকুল ইসলাম ও ফরমান আলীসহ ৬৭ জন হাইকোর্টে দুটি রিট করেন। পরে গেজেটের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করে হাইকোর্ট। আর এর জবাব দেয় বন বিভাগ। কিন্তু যারা মহাজির বলে বনভূমির বিভিন্ন জায়গা দখল করে বাড়িঘর তৈরি, ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছেন তারা সঠিক প্রমাণ না দিতে পারায় হাইকোর্ট
তা বন বিভাগের পক্ষে রায় দেন।

আদালত বলেছে গেজেটটি যথাযথভাবে জারি করা হয়েছে। তবে মামলা নিষ্পত্তির পর রায় সরকারের পক্ষে আসলে বনভূমির জায়গাটি বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

0Shares