প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ ঘটনার আট মাসের মধ্যে মামলা আদালতে ওঠার ১৩ কার্যদিবসে বিচার শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায় হতে যাচ্ছে, যাতে একমাত্র আসামি মজনু মিয়া।
ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার বৃহস্পতিবার এই রায় দেবেন।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, রায়ে মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই হবে।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ার আগে এই মামলার বিচার সম্পন্ন হওয়ায় রায় পূর্ববর্তী আইনেই হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে মজনুর বিরুদ্ধে চাক্ষুস কোনো সাক্ষী ছিল না বলে রায়ে তার অব্যাহতি আশা করছেন আসামি পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি।
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মজনু।
তিনি বলেছিলেন, “আমার মা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ নেই। আমাকে মায়ের কাছে যাইতে দেন। আমি এই কাম করি নাই। আমারে ছাইড়া দ্যান।”
তবে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী রুদ্ধদ্বার আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মজনুকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন। তিনি র্যাবকেও বলেছিলেন, তার উপর নিপীড়নকারীর চেহারা জীবনেও ভুলতে পারবেন না তিনি।
মজনু বলেন, “সে (ভিকটিম) বলছে যে আমার দুই দাঁত ভাঙা, আসলে আমার ৭/৮টা দাঁত ভাঙা।”
এই বছরের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। পরদিন তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
তিন দিন বাদে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব জানায়, নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসা এই ব্যক্তিই ধর্ষণকারী।
তদন্ত শেষে দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত তিনি জমা দেন আদালতে।
গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিতে যাচ্ছেন বিচারক।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech