শাবিতে সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০

শাবিতে সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি

ডায়ালসিলেট

আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।  সেমিস্টার ফি কমানো ও হল খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমানের মতে, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বিশেষ করে সাধারণ মানুষরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সেমিস্টার এবং ক্রেডিট ফি ৬০ শতাংশ মওকুফ করা দরকার। কারণ অনেক শিক্ষার্থী এ সময় ফিসের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না।’ ফারহান শাহরিয়ার রাজিন নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটি অবশ্যই ভালো দিক। কিন্তু সেমিস্টার বা ক্রেডিট ফি এর ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত এসেছে তাতে আমরা বিপদে পড়ে গেছি।

করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারের খরচের পাশাপাশি দুইমাসের থাকা-খাওয়াসহ পরীক্ষা ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া আমার মতো অনেকের পক্ষে সম্ভব না। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ সার্বিক বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। যখন ক্যাম্পাস খুলবে তখন আমরা এর সমাধান করব। আমি চাইলেই একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।

সিন্ডিকেট ও একডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ আবাসিক হল খোলার ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ‘হল খুলতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে আমরা হল খুলে দিতে পারি। অন্যথায় এর দায়ভার আমাদেরকেই বহন করতে হবে।’ উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সেশন জটমুক্ত করতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে বের হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করুক। শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে করোনায় আটকে থাকা বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৩ ঘণ্টার পরীক্ষাগুলো ২ ঘণ্টা ও ২ ঘণ্টার পরীক্ষাগুলোকে ১ ঘণ্টার মধ্যে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

0Shares