ঢাকা ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রিয়জন
প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১
ডায়ালসিলেট ::
তাসলিমা খানম বীথি,হসপিটালে বয়স্ক রোগিদের দেখলেই আব্বা আম্মা মুখ চোখে ভেসে ওঠে। তখন তাদের প্রতি আমি আরো বেশি কেয়ারিং হই কেন জানি না। শুধু জানি হসপিটালে প্রত্যেক রোগিই আমার পরিবার। তাদের যত্ন যাতে ত্রুটি না হয়। পোস্ট অপারেটিভে যেতেই আমাকে দেখে প্রাণবন্ত হাসি দিয়ে বলে- কিতা গো মাই ভালানি। তার হাসিভরা মুখ দেখে অবাক হই। অপারেশনের পর এতটা প্রাণবন্ত কোন রোগিকে দেখিনি। হসপিটালে বেডে শুয়েও তিনি খুব ভালো আছেন যখন বলেন আমিও ভুলে যাই তিনি যে রোগি। মুখ দেখে কখনোই মনে হত না তার এক পায় অসুস্থ। ইফতার সময় হয়ে যাচ্ছে চাচা বলেন- তোমরা এত সেবা দিচ্ছ আমরা সুস্থ হবো ইনশাআল্লাহ। পাশে বেডেই আরেক চাচা বলছেন খুব শীত-করের গো মাই’ বলতেই নিজেই দুটা লেফ দিয়ে বয়স্ক চাচাকে। রোগিদের সুস্থতাই আমাদের প্রশান্তি।
২. পরের দিন কেবিন থেকে কল, যেতেই মন খারাপ করে বলছেন-আমাকে দেখতে আইরা না কেনে?। কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই। বয়স্ক চাচাকে জিজ্ঞাসা করি পায়ে কি ব্যথা হচ্ছে। কিছুটা রেগে বললেন-পা ঠিক আছে। আমার কোন ব্যথা নাই। আমার একলা ভালা লাগের না। অনেকক্ষন কথা বলা পর তিনি আগের মত প্রাণবন্ত হয়ে যখন কথা বলছেন বুঝতে পারি তার ব্যথা পায়ে নয় মনে। নিংঙ্গতা তাকে কষ্ট দিচ্ছে। তখন অনুভব করি শারিরীক ব্যথা ত বলে বুঝানো যায় কিন্তু হৃদয়ের ক্ষত কিংবা মনের ব্যথা বলার মত পাশে কেউ থাকতে হয়। টাকা বা খাবারের অভাবে না শরীরের অসুস্থ চেয়ে আপনজনদের ভালোবাসা অভাবে ব্যথা পায় বেশি। মানুষের জীবনে প্রয়োজনের চেয়ে সবচে কাছের প্রিয়জন থাকাটা খুব দরকর।
৩.স্বজনরা বাইরে গেলেই কেবিনে তখন আমরা সবাই চাচাকে সময় দিতাম। যাতে তিনি একাকিত্ব অনুভব না করেন। তিনি জানান-আমাদের হসপিটালে আন্তরিকতা ভালোবাসাময় সেবায় আনন্দিত। বিশেষ করে হসপিটালে চিকিৎকদের সুন্দর ব্যবহার তাকে মুগ্ধ করেছে। ফ্রিডম হসপিটালে প্রত্যেক রোগিই প্রাণবন্ত হাসি আর সুস্থতা নিয়ে বাড়ি ফিরুক। সেই প্রত্যাশা আমাদের শুভ কামনা থাকে।
তাসলিমা খানম বীথি,হসপিটালে বয়স্ক রোগিদের দেখলেই আব্বা আম্মা মুখ চোখে ভেসে ওঠে। তখন তাদের প্রতি আমি আরো বেশি কেয়ারিং হই কেন জানি না। শুধু জানি হসপিটালে প্রত্যেক রোগিই আমার পরিবার। তাদের যত্ন যাতে ত্রুটি না হয়। পোস্ট অপারেটিভে যেতেই আমাকে দেখে প্রাণবন্ত হাসি দিয়ে বলে- কিতা গো মাই ভালানি। তার হাসিভরা মুখ দেখে অবাক হই। অপারেশনের পর এতটা প্রাণবন্ত কোন রোগিকে দেখিনি। হসপিটালে বেডে শুয়েও তিনি খুব ভালো আছেন যখন বলেন আমিও ভুলে যাই তিনি যে রোগি। মুখ দেখে কখনোই মনে হত না তার এক পায় অসুস্থ। ইফতার সময় হয়ে যাচ্ছে চাচা বলেন- তোমরা এত সেবা দিচ্ছ আমরা সুস্থ হবো ইনশাআল্লাহ। পাশে বেডেই আরেক চাচা বলছেন খুব শীত-করের গো মাই’ বলতেই নিজেই দুটা লেফ দিয়ে বয়স্ক চাচাকে। রোগিদের সুস্থতাই আমাদের প্রশান্তি।
২. পরের দিন কেবিন থেকে কল, যেতেই মন খারাপ করে বলছেন-আমাকে দেখতে আইরা না কেনে?। কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই। বয়স্ক চাচাকে জিজ্ঞাসা করি পায়ে কি ব্যথা হচ্ছে। কিছুটা রেগে বললেন-পা ঠিক আছে। আমার কোন ব্যথা নাই। আমার একলা ভালা লাগের না। অনেকক্ষন কথা বলা পর তিনি আগের মত প্রাণবন্ত হয়ে যখন কথা বলছেন বুঝতে পারি তার ব্যথা পায়ে নয় মনে। নিংঙ্গতা তাকে কষ্ট দিচ্ছে। তখন অনুভব করি শারিরীক ব্যথা ত বলে বুঝানো যায় কিন্তু হৃদয়ের ক্ষত কিংবা মনের ব্যথা বলার মত পাশে কেউ থাকতে হয়। টাকা বা খাবারের অভাবে না শরীরের অসুস্থ চেয়ে আপনজনদের ভালোবাসা অভাবে ব্যথা পায় বেশি। মানুষের জীবনে প্রয়োজনের চেয়ে সবচে কাছের প্রিয়জন থাকাটা খুব দরকর।
৩.স্বজনরা বাইরে গেলেই কেবিনে তখন আমরা সবাই চাচাকে সময় দিতাম। যাতে তিনি একাকিত্ব অনুভব না করেন। তিনি জানান-আমাদের হসপিটালে আন্তরিকতা ভালোবাসাময় সেবায় আনন্দিত। বিশেষ করে হসপিটালে চিকিৎকদের সুন্দর ব্যবহার তাকে মুগ্ধ করেছে। ফ্রিডম হসপিটালে প্রত্যেক রোগিই প্রাণবন্ত হাসি আর সুস্থতা নিয়ে বাড়ি ফিরুক। সেই প্রত্যাশা আমাদের শুভ কামনা থাকে।