খেতে বসতে না বসতেই জমিদার এসে হাজির। চুপ করে বসে মুখের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকবে দেখলেই মায়া হয়। মাছ বা মাংস একপিচ বেশি আমি খাই না। তবুও যখনই জমিদার সামনে থাকে তাকে দিতে দিতে পুরাটাই দিয়ে দেই। ঘরের সবাই খেতে বসলে তাকে দেখা যায় না। কিন্তু আমি খেতে বসলেই জটপট চলে আসে। খুবই রুচিশীল। বিছানা, সোফা আর চেয়ার ছাড়া সে ঘুমায় না। তার এই ভাবের জন্য আমার ছোট বোন আমিনা জমিদার নাম দিয়েছে। চেয়ারে বসার জন্য আমার একটি কুশন ছিলো। আমরা ঘুমানো পর জমিদার সে কুশনে ঘুমায় দেখে ভাবলাম তার বিচানা নেই তাই কুশনটি তাকে দিয়ে দিছি। সে সব বিড়ালদের মত না বলে তাকে বিলাই না ডেকে জমিদার ডাকি। ২. জমিদারের প্রতি আমাদের চেয়ে আম্মা আব্বা মায়া বেশি। কয়েকদিন আগে স্টরুমে তার বাচ্চা হয়েছে। আম্মা সারাক্ষণ খেয়াল রাখে তার বাচ্চাদের প্রতি। আম্মাকে বলি তুমি এত কেয়ারিং কর যেনো মানুষের বাচ্চা। আম্মা বলে তুই এসব বুজবি না। ছোট বাচ্চা অসুস্থ হলে মা বিড়ালে কষ্ট হবে। একটু বড়ো হতেই জমিদার বাচ্চা গুলো ছুটাছুটি করে। কিভাবে পাশের ফ্ল্যাটে আপাদের ঘরে গিয়ে আটকে যায়। কিন্তু তারা ঘর তালা মেরে বাপের বাড়িতে গিয়েছে। রাত হলেই জমিদার ছোট বাচ্চা ডাকে আমরা ঘুমাতে পারি না। এই নিয়ে আম্মা আব্বারও মন খারাপ। কিভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা যায়। পরে সেই আপাকে কল করে জমিদারের বাচ্চা বিড়ালের কথা বলতেই আপা ঘরের চাবি পাঠালে তাকে উদ্ধার করা হয়। মা বিড়াল তার বিড়াল ছানাদের পেয়ে মহাখুশি। তাদের আনন্দ দেখে আম্মা আব্বাও মন খারাপ ভুলে যায়।
লেখক::তাসলিমা খানম বীথি