প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সারাবিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ জনসংখ্যাবহুল দেশ হলো চীন। সে দেশের আর্থ -সামাজিক অবস্থায় প্রবল চাপ পড়ত। যার জেরে এক সন্তান নীতি চালু করে বেইজিং। ফলে জনসংখ্যার চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
কিন্তু তার জেরে চীনা জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। এর ফলে তিন দশকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ান জন্ম প্রতিরোধ হয়েছে। পরিস্থিতির কথা বিচার করে ২০১৬ সালে সেদেশে দুই সন্তান নীতিতে ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু ততোদিনে চীনা জনসংখ্যা অনেকটাই কমেছে। অন্যদিকে আর্থিক কারণে বেশিরভাগ চীনা দম্পতিই একটি করে সন্তান ধারণের পক্ষে ছিলেন।
ফলে জনসংখ্যা না বাড়লে চীনা আধিপত্য কীভাবে বজায় থাকবে তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়। দুই সন্তান নীতির পর চীনের জনসংখ্যা ধীর গতিতে বেড়ে ১.৪১২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা গত বছর ১৮.৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬৪ মিলিয়ন। বিশ্বে চীনা আধিপত্য কায়েম করতে এবার নিজেদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনে চীন।
চীনা জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা আইনে সংশোধন আনে বেইজিং। এবার চীনা জাতীয় আইনসভায় তিন সন্তান নীতি অনুমোদন পেল।
এতে অনুমোদন দিলো ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস বা এনপিসি । ‘China Daily’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী নয়া আইন অনুসারে, তিনটি সন্তান হলে এবার থেকে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুর ভরনপোষণের আর্থিক দায় নেবে সরকার। যেমন, আর্থিক কর লাঘব, বীমা, শিক্ষা, আবাসন, কর্মসংস্থানের সুবিধাও মিলবে।
দীর্ঘকালীন মেয়াদে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা হিসাবেই এই সুবিধা চীনা দম্পতিকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আদমশুমারি অনুযায়ী চীনাদের জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। যা উপলব্ধি করেই চলতি বছর মে মাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তিন সন্তানের অনুমোদন দেয়।
‘China Daily’-র প্রতিবেদন অনুসারে , সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং দীর্ঘমেয়াদী জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এনপিসি আইন সংশোধন করেছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech