সিলেট পরিবহন ধর্মঘট : সড়কে অসহায় মানুষ

প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২১

সিলেট পরিবহন ধর্মঘট : সড়কে অসহায় মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাস চলানো বন্ধ রাখায় গত দুইদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নগরীর বিভিন্ন সড়কে বাস না পেয়ে অফিসমুখী অসহায় মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

 

সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, লেগুনা চলাচল করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ সুযোগে এসব যানবাহনে নেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায়ই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান, কাভার্ডভ্যানে চড়েও যাচ্ছেন কর্মস্থল ও গন্তব্যে।

 

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর হুমায়ুন চত্বরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।

 

সিলেট-ঢাকা রোডের কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, শত শত যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো বাস নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আসলেই দাম-দর করতে অনেকেই এগিয়ে যাচ্ছেন, বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া হাঁকছেন চালকরা।

 

গোয়ালাবাজারের একটি অফিসে চাকরি করেন আয়মান ফয়ছল। তিনি বলেন, ‘অফিস খোলা যেভাবেই হোক অফিসে যেতে হবে। সিএনজি অটোরিকশায় ৫০০ টাকা চাইছে, ভাড়া ২০০ টাকাও না। বাস ধর্মঘট এদের ঈদ নামিয়ে দিয়েছে।’

 

বন্দরবাজারের একটি মার্কেটের বিক্রয়কর্মী মাসুম মিয়া। তিনি বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়াইয়া আছি। বাস ধর্মঘট কিন্তু অফিস-মার্কেট সবই তো খোলা। মানুষের কষ্টের শেষ নাই। ঝুঁকি নিয়া কয়েকবার পিকআপে ওঠার চেষ্টা করছি, পারি নাই। মার্কেটে কেমনে যামু জানি না।’

 

জিন্দাবাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আজিজ আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কেউ চাইলো আর বাস বন্ধ করে বসে থাকল। এটা কোনো কথা? এ দেশে কি সরকার বা কোন নিয়ম-কানুন আছে? থাকলে হয়তো এভাবে অরাজকতা হতো না। এত মানুষের ভোগান্তি কেউ দেখছে না!’

 

এম/এ/

0Shares