প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: করোনার কারণে শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে এসেছেন প্রায় চার লাখ অভিবাসী শ্রমিক। তারা প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যসহ আরও কয়েকটি দেশে কাজ করেন। তাদের নিয়ে দেশে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশফেরত এসব মানুষের কল্যাণে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এডিবির এই অর্থায়ন—যুবক, প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী শ্রমিক ও গ্রামীণ উদ্যোক্তা বিশেষ করে নারীদের দ্বারা পরিচালিত ছোট পরিসরের ব্যবসাকে সহায়তা করবে। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থায়নের পরিমাণ এক হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
এডিবির ঋণ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত সংগঠনে দেওয়া হবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে সহজ করা ও ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলোকে মহামারির বিরূপ প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা।
এডিবি জানায়, দেশে যুব বেকারত্বের হার উচ্চ স্তরে এবং করোনায় তারা আরও গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কারণ তারা খুচরা বাণিজ্য, হোটেল ও খাদ্য পরিষেবাগুলোর মতো ছোট খাতে মনোনিবেশ করে, যা মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহামারি শুরুর পর প্রায় ৪ লাখ বিদেশি অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন এবং অনেকেই এখন বেকার। মহামারিতে গ্রামীণ আয় ও কৃষি-বহির্ভূত কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়েছে। গ্রামীণ উদ্যোগগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ওপর আরও চাপ তৈরি করেছে।
এডিবি প্রধান আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ডং ডং ঝ্যাং বলেন, এডিবি দেশের কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলকে সমর্থন করে। যা মহামারির কারণে আরও বেড়েছে। করোনায় অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। মূলত তাদের কল্যাণে এডিবির অনুমোদিত অর্থায়ন ব্যবহার হবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech