স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাটের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে বাবুর্চি ও নারীসহকারীসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।  গুরুতর আহতবস্থায় বাবুর্চি সহকারী অপর আরো ১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে ২জনের মরদেহ ও অচেতন অবস্থায় থাকা ১জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী নয়াগ্রামের রহমত উল্লাহ’র ছেলে বাবুর্চি সোহেল আহমদ ও ওসমানীনগরের তাহিরপুর গ্রামের সালমা বেগম। পরে উদ্ধারকৃত লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।  অপরদিকে বিল্লাল আহমদ নামের অপর আরেক জনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহিদুল হক ডায়ালসিলেটকে  জানান, আনন্দ কমিউনিটি একটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্নার কাজে এসেছিলেন বাবুর্চিসহ তার সহকারি আরো ২জন। রাতে গরু জবাই করে এবং বিয়ের আনুষঙ্গিক রান্নাবান্নার কাজ শেষ করেন তারা। পরে রাত ৩টায় তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় মশার উপদ্রব থাকায় তারা ২টি কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

এছাড়াও রান্নাঘরে ব্যবহৃত ৪ কয়েলের ধোয়া তাদের কক্ষে প্রবেশ করে। পরে সকালে বিয়ে বাড়ির লোকজন তাদের ডাকতে গেলে কোনো সাড়া শব্দ না দেওয়া  ছোট একটি শিশুকে এই  ঘরে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে দরজা খুলে তাদের অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুর্চি সোহেল ও সহকারি সালমা বেগমের মৃত্যু হয়। অসুস্থ বিল্লালকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে  খাদ্যে বিষক্রিয়ায় বা মশার কয়েল ও চাড় কয়েলের ধোঁয়ায় অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ বিষয়ে নিশ্চিত করা যাবে।