দেনমোহর পরিশোধের ভয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

দেনমোহর পরিশোধের ভয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এমডি কুয়াকাটা-২ নামে লঞ্চটির কেবিন থেকে শারমিন আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী মো. মাসুদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব- ১৫।

 

সোমবার ভোরে কক্সবাজার শহর থেকে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এর বিশেষ অভিযানে মাসুদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাসুদ লঞ্চে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

 

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতার হওয়া শারমিনের স্বামী মাসুদ স্বীকার করেন, পরে মাসুদ বলেন সে শারমিনকে বিয়ে করলেও তার সঙ্গে সংসার করার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু শারমিনকে ডিভোর্স দিতে চাইলেও দেনমোহর বাবদ পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করার ক্ষমতাও ছিল না তার।

 

এ বিষয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। হত্যাকাণ্ডের ১৫-২০ দিন আগে শারমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাসুদ। ঘটনার পাঁচদিন আগে শারমিন সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন। শারমিনের এই অসুস্থতার সুযোগে মাসুদ তাকে কাশির সিরাপের সঙ্গে বিষপান করান। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শারমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

 

জানা যায়, ২০১২ সাল থেকে আশুলিয়ার একটি কোম্পানিতে পিকআপের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল মাসুদ। ভিকটিম শারমিন ১২ বছর ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ায় তার চাচার বাসায় থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের শুরুতে তাদের পরিচয় হয় ও বিয়ের আগে শারমিন বিমানবন্দর থানায় মাসুদের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলার নিষ্পত্তির জন্য উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর শারমিনের চাচার বাসায় তাদের বিয়ে হয়।

 

উল্লেখ্য, ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এমডি কুয়াকাটা-২ নামে লঞ্চটি বরিশাল পৌঁছালে শারমিন আক্তার নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শারমিন সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন। শারমিনের এই অসুস্থতার সুযোগে মাসুদ তাকে কাশির সিরাপের সঙ্গে বিষপান করান। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শারমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

 

ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ