সংক্রমণ বাড়লে স্কুল আবার বন্ধ হতে পারে

প্রকাশিত: ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১

সংক্রমণ বাড়লে স্কুল আবার বন্ধ হতে পারে

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান অভিযান সহজলভ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কেউ আবার সংক্রমিত না হয় এবং কেউই যেন টিকা দান কভারেজের বাইরে না থাকে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে কোভিড-১৯ টিকা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এবার করোনার কারণে ১লা জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব না হলেও সেদিন থেকেই দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ শুরু হবে এবং ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেণির বই প্রদান করা হবে। এবারে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। এর আগে মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১১টি বোর্ডের চেয়ারম্যানগণের কাছ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী পক্ষে থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তৃতা করেন। সরকারের টিকাদান কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের প্রথমে দিয়েছি, এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি এবং ১২ বছর বয়স পর্যন্ত যারা তাদের সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকের অনীহার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতকালই তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলে ব্যবস্থা নিয়েছেন সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে যেন এই টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। একদম তৃণমূল পর্যায়ের মানুষও যেন দ্রুত টিকা নিতে পারে। কারণ, নতুনভাবে যাতে আবার সংক্রমিত না হয় সে ব্যবস্থা আমাদের এখন থেকেই নিতে হবে। যারা টিকা নেন নাই এখনো তাদেরকে টিকাটা নিতে হবে। পরিবারের শুধু অভিভাবক নয়, শিক্ষার্থীরাও যাতে টিকা নেয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু রাখতেই হবে। কারণ, করোনা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আমরা সবসময় লক্ষ্য করেছি, শীতে এর প্রাদুর্ভাবটা বেড়ে যায়। কাজেই, এখন থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেই প্রস্তুতিটা নিতে হবে। আর প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে স্কুলগুলো হয়তো চালু রাখা সম্ভব হবে না। সে কারণে, অনলাইন শিক্ষাটা যাতে প্রত্যেক ঘরে পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার চায় বিমান বাহিনী একটি উন্নত দেশের বাহিনীর মতো হোক এদিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‘শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক ফাইটার প্লেন, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কেননা তার সরকার চায় এটি একটি উন্নত দেশের বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই নতুন ঘাঁটি (উইং), ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। তিনি বলেন, আমরা বিমান বাহিনীকে একটি উন্নত দেশের বাহিনীর মতো দেখতে চাই। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী পাসিং আউট ক্যাডেটদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ এবং ফ্লাইপাস্ট প্রত্যক্ষ করেন। তাকে কুচকাওয়াজ রাষ্ট্রীয় অভিবাদনও জানায়। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ক্যাডেটদের মাঝে সোর্ড অব অনার, বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি, কমান্ড্যান্ট ট্রফি প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি ফ্লাইং ব্যাজও প্রদান করেন।

0Shares