নবনিযুক্ত প্রক্টরেরও অপসারণ দাবি শাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২

নবনিযুক্ত প্রক্টরেরও অপসারণ দাবি শাবি শিক্ষার্থীদের

শাবি প্রতিনিধি :: একদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাইল এই পদের দায়িত্ব নেয়ার পর তারা এই দাবি তুললেন। তাদের অভিযোগ, নতুন প্রক্টরের সামনে একটি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছিল। সেটি প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ তিনি নেননি। এ কারণে তিনি প্রক্টর পদের জন্য অনুপযোগী বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
একইসঙ্গে তারা জানালেন, একদিনের জন্য উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ও মন্ত্রীর ক্যাম্পাস সফর শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন ইয়াসির সরকার।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আলমগীর কবিরকে সরিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রক্টর করা হয় ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে।
এ বিষয়ে ইয়াসির বলেন, ‘নবনিযুক্ত প্রক্টরে সামনে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছিল। তবে তিনি সে সময় ঘটনাটি প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ নেননি। ওই ঘটনাটি এখন তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাকে (ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে) দেয়া অনুচিত হয়েছে।
তাকে অপসারণের জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি। মন্ত্রী আমাদের এ ব্যাপারে যথাযত উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া আগামীতে প্রক্টর নিয়োগে শিক্ষার্থীদের মতামত নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।’
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ইয়াসির বলেন, ‘আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ৮টি দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে আমাদের প্রধান দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া বাকি সবগুলো ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন মন্ত্রী। এগুলো দ্রুত পূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। উপাচার্যের অপসারণ যেহেতু তার এখতিয়ারভুক্ত নয়, তাই বিষয়টি তিনি আচার্যকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি মহামান্য আচার্য শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের অভিযোগগুলো জেনে উপাচার্যকে দ্রুত অপসারণে উদ্যোগ নেবেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আমাদের করণীয় নির্ধারণে আগামীকাল (শনিবার) বিকেলে সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বৈঠক করব। এই বৈঠকের পর আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব। এর আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।’
শুক্রবার দুপুরে সার্কিট হাউসে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে যান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরবেন। উপাচার্যের নিয়োগ ও অপসারণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ