তোফায়েল পাপ্পু দুবাই থেকে॥আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ অনেক সময় প্রশাসনের সেবা থেকে বঞ্চিত হন, কারণ তারা ডিঙাতে পারেন না কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা। সরকারি সেবা পাওয়া আর সোনার হরিণ মনে হয় সমান। দিনের পর দিন ঘুরে কাজ করাতে না পেরে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে সরকারি অফিস ও অফিসারদের উপর। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জনভাগ্যে জুটেছিলো তেমনী একজন মেধা সম্পন্ন, জনবান্ধব, সুদক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। আজকাল ভালো কর্মকর্তা জনভাগ্যে পাওয়া বড় দুষ্কর।
শ্রীমঙ্গলের সকল সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ও সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করে তিনি প্রশাসনিক কর্ম পরিচালনা করেছেন। ২০১৮ সালে নজরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শ্রীমঙ্গলে যোগদান করার পর তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র।
দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করে। কমে যায় জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পায় জনসেবার মান।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করে তোলা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।
পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করেছেন তিনি।
অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে শ্রীমঙ্গলকে একটি আধুনিক উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করেছে।
তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রাস্তাঘাট উন্নয়নের সার্বিক বিষয় তদারকি করেন। ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ নজরুল ইসলাম। রাষ্ট্র কর্তৃক নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
মেধাবী ও জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।
উনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছেন, এই দেশ একদিন উনার মতো ভালো লোকের কারণেই উন্নতির শিখরে আরোহন করবে। উনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সকল মানুষের হৃদয়ে ছিলেন, আছেন এবং আজীবন থাকবেন। শ্রীমঙ্গলের সর্বমহল কৃতজ্ঞতার সাথে সারা জীবন আপনাকে মনে রাখবে।
আমরা আপনার দীর্ঘায়ূ এবং উত্তর উত্তর আরও গুরুত্বপূর্ণ অধিক যোগ্যতম স্থানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। পরিশেষে আপনার শারিরিক সুস্ততা এবং সাফল্যতা কামনা করি।