স্বপ্নের হাত ধরে সমৃদ্ধির পথে…. পুরো জাতি আজ আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২২

স্বপ্নের হাত ধরে সমৃদ্ধির পথে…. পুরো জাতি আজ আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

মীর নাহিদ আহসান॥ আজ প্রমত্ত পদ্মার বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখা স্বপ্নের বাস্তব রুপ, স্বপ্নের সেতু,আমাদের অহংকার- পদ্মা সেতু। স্বপ্নের রুপকার, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বগুণে অলীক অধরা এ স্বপ্নের উন্মোচন হয়েছে আজ। তিনি দেশকে পৌঁছে দিয়েছেন উন্নয়নের অনন্য সীমাহীনতায়। বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন অভিযাত্রায় আজ বিশ্বের কাছে বিস্ময় জাগানো আরও এক মাইলফলক এ সেতু। এটি শুধুই একটি সেতু নয়; বরাবর সিংহভাগ বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশের আত্মনির্ভরতায় ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনৈতিক সক্ষমতার নজির সৃষ্টিকারী উদাহরণ; ষড়যন্ত্রের কালিমা মোচন করে সাহস ও সততার জয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; আত্মমর্যাদা আর তেজস্বীকতার এক অনন্য স্থাপনা। পদ্মা সেতু হলো দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশকে নিয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার এক প্রত্যয়ের নাম। পিতার মতোই অনন্য স্বপ্ন সাহসী, প্রতিজ্ঞায় অবিচল, লক্ষ্যে স্থির আর দেশ প্রেমিক নেতা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মৌলভীবাজারের ২৩ লক্ষ মানুষ সহ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন গ্রহণ করুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ ছিল দরিদ্র। বৈদেশিক সাহায্যের নির্ভরতাও ছিল ৮৮ ভাগ। বাংলাদেশ টিকে থাকবে কি না, এ নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ হিসেবে অভিহিত করেন।ধ্বংসস্তূপ বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩-৭৮) প্রণয়নের দ্বিতীয় বছরে ১৯৭৪-৭৫ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাংলাদেশের জিডিপি ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়, যা আজও রেকর্ড। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামরিক ও আধা গণতন্ত্রী শাসকেরা স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতার অংশীদার করে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে দেশ শাসন করে।
পরবর্তীতে ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনার সময়ে বঙ্গবন্ধুর পরে অর্থনীতি, উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রকে তিনি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। দেশকে পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা কোভিড-১৯ মহামারির আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৮ শতাংশের ওপর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪১তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের অব্যাহত এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় আজ যুক্ত হল আরেক অনন্য নিদর্শনঃ পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প। পিতার মতো আরো একবার জাতিকে আপনি ঐক্যবদ্ধ করেছেন উন্নয়নের মোহনায়। অভিবাদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫ সাল থেকে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবার সাত বছরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। অর্থনীতিবিদসহ অনেকেই বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। অথচ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন পদ্মা সেতু নির্মিত হলে তা শুধু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবে না, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে। পর্যটন, যোগাযোগ, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা,আঞ্চলিক বাণিজ্য, সামাজিক খাত- সব ক্ষেত্রেই এ সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে। সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এ অঞ্চলকে ট্রান্সএশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠিত হবে। মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বেড়ে যাবে বহুগুণ। পদ্মার দুই পারে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরীর আদলে শহর গড়ে উঠবে। বিশ্বব্যাংকের স্বাধীন পরামর্শক এবং সেতু বিভাগের নিয়োজিত পরামর্শক সংস্থার সমীক্ষায় বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। আমাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির পথে রচনা করেছেন আপনি এক আকাশ মমতায়। পরম শ্রদ্ধা ম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান পায় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরিতাপের বিষয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়নের শুরুর পথ ছিল বন্ধুর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এ সেতুর বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে তিনি আবারও পদ্মা সেতু নির্মাণ অগ্রাধিকার দিয়ে এর বাস্তবায়ন দ্রুততর করার উদ্যোগ নেন।
কিন্তু আবারো ষড়যন্ত্র! ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করে, তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ দুর্নীতির ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছে, উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিযোগের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান নেন, জাতীয় সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার সফল বাস্তবায়নে আপনার নেতৃত্বে জাতি পেয়েছে পদ্মা সেতু। আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আরেকটি উদাহরণ। নিজ অর্থে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণে সাহসিকতার প্রশংসা করে চীন বলেছে সেতুটি সাহসের একটি প্রতীক। স্বল্পোন্নত দেশ বাংলাদেশ এমন সেতু নির্মাণ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সেতুটি শুধু বাস্তবায়নই হয়নি, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এর শতভাগ নির্মিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয়েছে যদি সাহসের কোনো সীমা না থাকে, তবে আকাশ তার সীমা। বাঙালির এই সীমাহীন সাহসের চিরন্তন প্রেরণা বঙ্গবন্ধু- আর আপনি তো তাঁরই সুযোগ্য উত্তরাধিকার। গভীর কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি বিশ্বরেকর্ড এর জন্ম হয়েছে। প্রথমত, ৪০-৪২ তলা বিল্ডিং এর সমান লম্বা পাইল, বসানো হয়েছে। যেটা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে রীতিমত অবিশ্বাস্য। দ্বিতীয়তঃ পিলার এবং স্প্যানের মাঝে যে বেয়ারিং থাকে, যেটা মূলত ভারসাম্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, পদ্মায় সেই বেয়ারিং-এর সহনক্ষমতা সর্বোচ্চ। ১০ হাজার ৫০০ টন সহনশীল বেয়ারিং বসানো হয়েছে, যা এই প্রথম। সানফ্রানসিস্কোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টন সহনশীল বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছিল। পদ্মায় ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ওজনের একেকটি বেয়ারিং ব্যবহৃত হয়েছে। পৃথিবীতে এর আগে এমন বড় বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়নি কোনো সেতুতে। তৃতীয়ত, প্রমত্তা পদ্মার ভাঙ্গন থেকে সেতুকে রক্ষা করতে এবং নদী শাসনে এখানে দুই দিকে ১২ কিলোমিটার নদী শাসনের যে কাজটি আছে, সেটি সিঙ্গেল কন্ট্রাক্টে বিশ্বে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ১৪ কিলোমিটার (১.৬ মাওয়া+১২.৪ জাজিরা) এলাকা নদী শাসনের আওতায় আনা হয়েছে। এই নদী শাসনে খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি। এখানেই শেষ না, পদ্মায় প্রতি সেকেন্ডে দেড় লাখ কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হবে। এ ধরনের পানিপ্রবাহ একমাত্র আমাজান নদীতে দেখা যায়। ওই নদীর ওপরে কোনো সেতু নেই। এ ধরনের শক্তিশালী নদীর ওপরে পদ্মাই হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম সেতু। সর্বশেষে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ২৯৮টি পাইল ড্রাইভ করার জন্য মোট ৩টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোলিক হ্যামার (আইএইচসি ৩০০) হ্যামার আনা হয় জার্মানি থেকে। যাদের ক্ষমতা ছিল ১৯০০ কিলোজুল, ২৪০০ কিলোজুল, ৩৫০০ কিলোজুল। এরমধ্যে ৩৫০০ কিলোজুল হ্যামারটি ছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী হ্যামার। ২০১৬-১৭ দু’বছর সেতু বিভাগে কাজের সুবাদে পদ্মা সেতুর এই অর্জনের পেছনের চ্যালেঞ্জগুলো কিছুটা দেখার সুযোগ হয়েছিল। দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের স্যার, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব (তৎকালীন সেতু সচিব) জনাব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্যার, প্রকল্প পরিচালক জনাব শফিকুল ইসলাম স্যার, পরামর্শক কমিটির জনাব জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারসহ সবার কী দিনরাত পরিশ্রম, প্রমত্তা পদ্মার সাথে যুদ্ধে বারবার ভেঙে পড়া আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসে সবার সাহসী পুনরুত্থান। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত সর্বস্তরের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং সকল নির্মাণ শ্রমিকদের প্রতি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।
পৃথিবীর সেতু এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের ক্ষেত্রে পদ্মা সড়ক ও রেল সেতু প্রথমবারের মত তৈরি হওয়া এক ইতিহাস, গর্ব আর আভিজাত্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা জাতির পরিচয় নতুন করে চেনানো মহীরূহ! পদ্মা সেতু আমাদের, আমাদের মানুষের টাকায় নির্মিত, আমাদের একান্ত নিজস্ব। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশাল ও অপূর্ব নির্মাণশৈলী। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস আর অর্জনের এক অনন্য বার্তা। সকল অর্জন, সকল রেকর্ড আজ ১৬ কোটি বাঙালি নিজের বলে উদযাপন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি অসাধারণ স্মারক।
আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতুর মতো একটি কালজয়ী স্থাপনা আমাদের উপহার দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন; যিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্নপূরণ করেন সেই স্বপ্নসারথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সাথে সারাদেশের মানুষ ধৈর্য ধরে প্রহর গুনেছে এক-একটি পিলার ও স্প্যান, অপেক্ষার বেলা শেষে আশার ভেলা ভাসিয়ে পদ্মার বুকে ভেসে উঠেছে নতুন সেতু! দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকে ছাপিয়ে সবথেকে বড় অর্জন এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নিজেদের ভাবমূর্তি, আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের জানান দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব আজ ৪২টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা সেতুকে দেখছে না, দেখছে এক অবিচল নেত্রীর আস্থার স্তম্ভের উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশকে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সৃষ্টি করলো আরও এক বিস্ময়! বিদেশি কোনো দেশ বা দাতাসংস্থার সাহায্য ছাড়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ ও অনন্য বৈশিষ্ট সম্পন্ন সেতু বানিয়েছে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ এখন সাফল্যের প্রতীক, সামর্থ্যের প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক, সম্মানের প্রতীক।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা।
লেখক ঃ মীর নাহিদ আহসান, জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার।

0Shares