সিলেট ওসমানিনগরে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের ২ প্রবাসীর মৃত্যু, ৩ জন আইসিউতে

প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২২

সিলেট ওসমানিনগরে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের ২ প্রবাসীর মৃত্যু, ৩ জন আইসিউতে

 

 

 

ষ্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের ওসমানীনগরে ৫ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ সময় ওসমানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিতা ও পুত্র মারা যান।

 

 

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এলাকার স্থানীয়রা জানান, অচেতন অবস্থায় ৫জন যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয় বাকি ৩ জন মা মেয়ে সহ গুরুতর অবস্থায় আইসিউতে ভর্তি রয়েছেন। মৃতরা হলেন ওসমানীনগরের বড় দিরারাই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে লন্ডন প্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০) ও মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৮)।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে মারা যাওয়া দুইজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অসুস্থ ৩ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।  তারা হলেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সামিরা ইসলাম, মেয়ে হোসনাআরা ইসলাম ও আরেক ছেলে সাদিকুল ইসলাম।

 

 

বিষয়টি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

তিনি বলেন,  বিষাক্ত বিষজাতীয় কোনো খাবার খাওয়ানোর ফলে এমনটি হতে পারে। তবে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাছাড়া নিহতদের ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

 

এ ব্যাপারে ওসি মাইনুল বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আমরা তাজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলচন্ডী সড়কের একটি বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করি। এ সময় তাদের কক্ষের দরজা ভেতর  লাগানো ছিল। আমরা পরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করি।

 

 

‘উদ্ধারের পর পাঁচজনকেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টার দিকে দুজন মারা যান। কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

উল্লেখ্য,   গত ১২ জুলাই স্বপরিবারে দেশে ফিরে এক সপ্তাহ ঢাকায় থাকেন তারা । অসুস্থ ছেলে সাদিকুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য তারা ঢাকায় অবস্থান করেছিলেন।  চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুর মঙ্গলচন্ডী বাজার রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এলাকার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অরুনদোয় পাল ঝলকের বাসা ভাড়া নেন।। এই ফ্ল্যাটের অন্য কক্ষে প্রবাসীদের কয়েকজন আত্মীয় থাকতেন।

 

 

প্রবাসীদের বাড়ি উপজেলার দয়ামীরে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ বিষটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।

 

 

এটিকে রফিকুল ইসলামের শ্যালক সেবুল আহমদ দাবি করেছেন তার দুলাভাইকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কালকেও আমি দুলাভাইয়ের বাসায় ছিলাম। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত তারা দরজা না খোলায় আমি পুলিশকে খবর দিই।

‘আমার ভাগনে মাইকুল প্রতিবন্ধী। ইংল্যান্ডে চিকিৎসায় সে সুস্থ হয়নি। তার চিকিৎসার জন্যই বোন ও দুলাভাই দেশে আসেন। কিছুদিন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তারা ওসমানী নগরের এই বাসায় ওঠেন। আমি এর সুস্থ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

 

 

0Shares