প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সুস্থভাবে বাঁচতে ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে আমাদের শরীরে যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো অবদান রাখে তার মধ্যে লিভার অতিগুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং ওষুধ খেলেই সুস্থ থাকবে লিভার এ ধারণা ভুল। শরীরে ফ্যাটি লিভারের কারণে লিভার সমস্যা হতে পারে।
এ ছাড়া ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে।
সময়মতো ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা না করালে লিভার সিরোসিসও হতে পারে। খাবার থেকে পাওয়া ফ্যাট লিভারে জমা হতে হতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করে। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানাই একমাত্র উপায়।
রোজকার খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলেই স্বস্তি মিলতে পারে ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে। তাই সবার জানা উচিত— ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রোজকার ডায়েটে কোন কোন খাবার শামিল করবেন—
স্যালমন, টুনা ও সার্ডিনের মতো মাছে থাকা ওমেগা ৩ লিভার সুস্থ রাখে, কোষে জমে থাকা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। পমফ্রেট মাছ রাঁধুন সর্ষে দিয়ে, এক থালা ভাত নিমেষেই হবে সাফ!
অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ। এই ফলটি লিভারের পৃষ্ঠে অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমতে দেয় না। অ্যাভোকাডোয় গ্লাইসেমিক সূচকও কম, তাই লিভার থেকে টক্সিন অপসারণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোয় উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে মেটাবলিজমও উন্নত হয়। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওজন কমাতে গ্রিন টির উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। গ্রিন টি আমাদের শরীরকে চর্বি শোষণে সাহায্য করে এবং লিভারে চর্বি জমা কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
রাজ্যে বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ! কীভাবে বুঝবেন আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা?
তোফুতে পাওয়া সয়া প্রোটিন শরীরের সামগ্রিক চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এক কথায়, তোফু চর্বি জমানোর পরিবর্তে অপসারণ করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের কোষের ক্ষতি কমাতেও সাহায্য করে।
গবেষণা অনুসারে, রসুন আমাদের লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ফলে লিভারে ক্ষতিকারক চর্বি জমা হয় না। রসুনে অনেক প্রাকৃতিক যৌগ থাকায় এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজকেও বাড়িয়ে তোলে।
বাতাবি লেবু ফ্যাটি লিভারের কারণে হওয়ার লিভারের ক্ষতি সারাতে সাহায্য করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ফলে কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং লিভারের ক্ষতি হতে দেয় না।
কফি ফ্যাটি লিভারের জন্য খুবই সহায়ক। লিভারের কোষগুলোর ক্ষতি করে এমন এনজাইমগুলো অপসারণ করে দেয় কফি। দিনে দুই কাপ কফি খাওয়া বেশ সহায়ক হতে পারে।
অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। আর ওমেগা ৩ লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে খুবই সহায়ক। এটি শরীরে জমা চর্বির পরিমাণ কমায় এবং ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
ডায়ারসিলেট এম/
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech