প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : কুলাউড়া উপজেলায় লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বা চর্মরোগে কয়েকশ গরু আক্রান্ত হয়েছে। এতে গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বেড়ে চলায় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পৃথীমপাশা ও কর্মধা ইউনিয়নে গরু লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়েছে। দেওগাও গ্রামের কয়েছ আহমদ জানান, তিনি কোরবানির ঈদের জন্য গরু পালন করছেন। এখন গরুর গায়ে চর্মরোগ দেখা দেওয়ায় বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষক শাহিন মিয়া জানান, কয়েক দিন আগে তার গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেয়। নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলেও রোগ সারেনি। সুলতানপুর গ্রামের বকুল খান জানান, তার গরুর শরীরের চামড়া ফুলে উঠেছে। সারা গায়ে প্রচুর দাগ হয়েছে। তবে কয়েক দিনের চিকিৎসায় কিছুটা ভালো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এটি একধরনের চর্মরোগ। এলএসডি বা লাম্পি স্কিন হলে গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে গরু বা বাছুর প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। জ্বরের সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয় এবং পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে। ক্ষত সৃষ্ট হয় এবং কোনো কোনো গরুর লোম উঠে যায়। একই সঙ্গে ক্ষত শরীরের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। গরু কাঁপতে থাকে, কখনও ঝিম মেরে থাকে। এ রোগে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ায় গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কুলাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, লাম্পি স্কিন রোগের সরাসরি কোনো প্রতিষেধক না থাকলেও ছাগলের বসন্ত রোগের প্রতিষেধক এ ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। আক্রান্ত গরুর মধ্যে প্রতিষেধকটির প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি পরামর্শ দিয়ে আরও জানান, গরুর থাকার ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন মশা-মাছির উপদ্রব না থাকে। এ ছাড়াও নিমপাতা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech