প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বৃষ্টি কম হওয়ায় নার্সারিগুলোতে ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ বিক্রি কম হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর চারা বিক্রি কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে আশানুরূপ চারা গাছে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নার্সারী মালিকেরা জানান।
নার্সারী ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর বৈশাখের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় সাথে সাথেই চারাগাছ বৃক্রির ধুম পড়ে। কিন্তু এ বছর সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় বিক্রির নিদিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবেনা। সারা বছর পরিশ্রম করে মৌসুমে চারা বিক্রি করতে না পারলে অনেক ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনতে হবে।
জানা যায়, বনাঞ্চল অধ্যুষিত ও মাটি উর্বর থাকায় এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৮০ টি নার্সারী আছে। এসব নার্সারি থেকে বছরে প্রায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার চারা বিক্রি হয়। বেশিরভাগ নার্সারি গড়ে উঠেছে সড়কের পাশে ও বাড়ির আঙ্গিনায়। যদিও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এর সুনিদিষ্ট কোন সংখ্যা জানা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দর ও পতনঊষার এলাকার সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে একটি পর একটি নার্সারি রয়েছে। এসব নার্সারিতে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি গাছের চারা উৎপাদন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব নার্সারির চারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য যায়।
বিসমিল্লাহ নার্সারিতে চারা কিনতে আসা শফিক আহমদ বলেন, আমি প্রায় ১ মাস ধরে এখান থেকে পাইকারি চারা গাছ কিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে বিক্রি করি। গত বছরের তুলনায় এবছর চারা অনেক কম বিক্রি হয়েছে। বৈশাখের শুরুতে বৃষ্টি হলে প্রচুর পরিমাণ চারা গাছ বিক্রি করা যেতো।
উপজেলার বিউটি নার্সারির মালিক বেলাল হুসাইন বলেন, এ বছর ২০ লাখ টাকার চারা বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু বৈশাখ মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় আশানুরূপ চারা বিক্রি হয়নি। গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টির পর থেকে চারা বিক্রি বেড়েছে।
ঈগল নার্সারিতে চারা গাছ কিনতে আসা ব্যবসায়ি সামি আহমদ বলেন, এই নার্সারির কথা অনেক শুনেছি এজন্য গাছের চারা কিনতে আসলাম। নতুন পুকুরের পারে গাছ রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করেছি, কিন্তু পানির অভাবে চারা রোপণ করতে পারিনি। বৃষ্টি হওয়ায় চারা কিনার জন্য নার্সারিতে আসলাম।
শমশেরনগর ঈগল নার্সারির পরিচালক আজাদুর রহমান বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সারা বছর চারা সংগ্রহ করি। আর এগুলো বৈশাখের বৃষ্টিতে বিক্রির ধুম পরে। এ বছর একটু দেরিতে চারা বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে সময়ের সাথে সাথে বিক্রি আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এখানে ছোটবড় মিলে অনেক নার্সারি আছে। এসব নার্সারির মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এই উপজেলার মাটি উর্ভর থাকায় অতি সহজেই যেকোনো ফল, ফুল, বাগান বা নার্সারি করা সম্ভব।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech