প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহের পর টানা বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে চা গাছ। বৃষ্টির পানি গায়ে লাগিয়ে দুটি পাতা একটি কুঁড়িতে ভরে উঠেছে চা গাছগুলো। ক’দিন আগের তীব্র তাপদাহের কারণে চা পাতাগুলো ঝলসে বিবর্ণ হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টির ছোঁয়ায় যেন আবার প্রাণ ফিরে পেয়েচগে সবুজের এই সাম্রাজ্য। বৃষ্টি চা বাগানের জন্য আশীর্বাদ হলেও অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির মতোই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে জানান চা উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার কয়েকটি চা বাগানে দেখা যায়, অনাবৃষ্টি আর অত্যধিক তাপমাত্রায় বিবর্ণ হয়ে যাওয়া চা গাছ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চা বাগানগুলোর গাছে গাছে এসেছে নতুন কুঁড়ি, বৃষ্টিস্নাত চা পাতা গুলো ফিরে পেয়েছে তার সৌন্দর্য। তবে ঝড় বৃষ্টিতে অনেক গাছপালা ভেঙে পরেছে। চা শ্রমিকরা চা-পাতা তোলার পাশাপাশি ভেঙে পরা এসব গাছ পরিষ্কার করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
ইস্পাহানি জেরিন চা বাগানের উপমহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, চা উৎপাদনে বৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। কিছুদিন আগেও আমরা চা বাগানে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেছি। বৃষ্টি না থাকায় বিকল্প পদ্ধতিতে পানি দিতে হয়েছে। তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে চা গাছ গুলোতে নতুন কুঁড়ি বের হচ্ছিল না, বরং পাতা গুলো বিবর্ণ রঙ হয়ে গেছিল। নতুন কুঁড়ি না আসা, পানির সংকট, লাল মাকড়সার আক্রমণ প্রায় সব চা বাগানেই ছিল। এই বৃষ্টির ফলে চা গাছগুলো সজীবতা ফিরে এসেছে চা বাগানে। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি ঠিক আছে। তবে অধিক বৃষ্টিও চা বাগানের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এখন চা উৎপাদন ভালো হচ্ছে, তবে বিদ্যুতের কারণে কিছুটা শঙ্কিত চা শিল্প।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক জানান, চা বাগানের জন্য প্রাকৃতিক বৃষ্টি অনেক উপকারী, এর কোন বিকল্প নাই। সম্প্রতি দীর্ঘদিন তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির পর এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তা চা গাছের জন্য উপকারী ও আশীর্বাদস্বরূপ। তবে অতিবৃষ্টি চা গাছের জন্য ক্ষতিকর। চা গাছের গোড়ায় পানি জমলে তা চা গাছের জন্য ক্ষতিকর হবে। চা গাছের নিচে যেন পানি না জমে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech