ঢাকা ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শ্রীমঙ্গলে মহিলার পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যা
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক: শ্রীমঙ্গলে এক মহিলার পেটে লাথি মেরে ৪ মাসের গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারামারির এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ইছুবপুর এলাকার কালাম মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া বেগমের সাথে।
সোমবার ২৪ জুলাই এ ঘটানটি ঘটে। শ্রীমঙ্গল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ইছুবপুর এলাকার কালাম মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৫) ৪ মাসের গর্ভবর্তী ছিলেন। তাদের ক্ষেতের সবজি পাশের বাড়ীর ছোবহান মিয়ার গরু খেয়ে ফেলে। তখন সোনিয়া আক্তার গরু তাড়িয়ে দেন। এ সময় ছোবহান মিয়ার স্ত্রী আকলিমা উরপে লাকী বেগমের সহিত কথাকাটাকাটি হয় সোনিয়ার। একপর্যায়ে ছোবহান মিয়া ও তার স্ত্রী সোনিয়া বেগমকে কিল,ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এতে সোনিয়া বেগমের পেটে বেদনা শুরু হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে বাচ্চা মারা যাওয়ার রিপোর্ট আসে। এসময় সোনিয়া বেগমের ৩ বছরের ছোট বাচ্চা রবিউলও তাদের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়।
বুধবার সকালে সোনিয়া বেগমকে অধিকতর চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সোনিয়া বেগমের স্বামী কৃষক কালাম মিয়া জানান,বুধবার সকালে আমার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন,ছোবহান মিয়ার গরু তাদের ক্ষেতের সবজি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তার প্রতিবেশী ছোবহান মিয়া ও তার স্ত্রী লাকি বেগমের সহিত কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তার গর্ভবতী স্ত্রী’র পেটে তারা লাথি মেরে বাচ্চাটি মেরে ফেলেছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট এন্ড এনেসথেসিয়া বিভাগের ডাক্তার এনামুর রশিদ দিপু সোনিয়া বেগমের ৪ মাসের গর্ভের বাচ্চা মৃত বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান,এখন তারা সোনিয়াকে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পেইন ওঠার ইনজেকশন দিয়ে নরমাল ডেলিভারি করে মৃত বাচ্চাটি বের করে আনবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ছোবহান মিয়ার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ ব্যাপারে ছোবহান মিয়ার চাচাতো ভাই সাবেক সদর ইউপি সদস্য মনির মিয়া জানান,তিনি শুনেছেন ছোবহান মিয়ার স্ত্রী ও কালামের স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জাহাঙ্গির হোসেন সরদার জানান,ডাক্তারি সনদ পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।