প্রভাবশালী প্রতিবেশীর অভিনব কায়দায় অবরুদ্ধ কলেজ ছাত্রীর পরিবার

প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৩

প্রভাবশালী প্রতিবেশীর অভিনব কায়দায় অবরুদ্ধ কলেজ ছাত্রীর পরিবার

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাবিজুরীপার গ্রামে বসতবাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় বাঁশের বেড়া ও গাছের চারা লাগিয়ে প্রভাবশালী প্রতিবেশীরা এক কলেজছাত্রীর পরিবারকে প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ফাঁড়ি পুলিশে একাধিকবার ধরনা দিয়েও প্রতিকার না পাওয়ায় অবশেষে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী মরিয়ম ফেরদৌস মনি গত ৩১ অক্টোবর রাস্তা অবরুদ্ধকারী ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মো. আলা উদ্দিনের মেয়ে।

এদিকে, বুধবার আদালত থানার ওসিকে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, বড়লেখা নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের অনার্সের ছাত্রী মরিয়ম ফেরদৌস মনির বাবা-মা ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটাউচি মৌজায় ডিপি খতিয়ান ২৪৬ এর সাবেক ১৭৭৪ নং দাগের সোয়া ১০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেন। প্রায় ১২ বছর ধরে বসতবাড়ির দক্ষিণ দিকের অর্ধশত বছরের পুরোনো রাস্তা দিয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারসহ আশপাশের লোকজন চলাচল করেন। উক্ত রাস্তায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী ও ইউপি সদস্য সরকারি প্রকল্পে উন্নয়ন কাজ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রভাবশালী প্রতিবেশীরা কলেজছাত্রীর পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি গাছের চারা রোপণ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। বাধা নিষেধ করলেও তারা তা মানেননি। বসত বাড়ির দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদের শরণাপন্ন হলে তিনিও সুরাহা করে দেননি। ২৫ সেপ্টেম্বর শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী গত ৩১ অক্টোবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর রাস্তা বন্ধকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী মরিয়ম ফেরদৌস মনি জানান, রাস্তায় গাছের চারা ও বেড়া দেওয়া শুরু করার সাথে সাথেই অনেকের কাছে গিয়েছি। লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সবাই শুধু সময় ক্ষেপণই করেন। অপর দিকে প্রতিপক্ষ পুরো রাস্তায় চারা লাগিয়ে ও বেড়া দিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। কিছু চারা মরে যাওয়ায় এগুলোর ফাঁক দিয়ে যাতায়াত করতাম। এখন তারা কাটা ফেলে তাও বন্ধ করে দিয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত কুমার দত্ত জানান, আদালত রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রতিবেদন জমা দিতে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

0Shares