সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৩

সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

৫ পুলিশ সদস্য ২ সংবাদকর্মী আহত

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

 

শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রবিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ কয়কেজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অবশ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের আহত হওয়ার তথ্য জানা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।

 

শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পূর্ব পাশে বিএনপির কার্যালয়। সেখানে সকাল থেকেই পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল। সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে ২০০ গজ এগোলে মূল সড়ক থেকে পশ্চিমে একটি সড়ক আরপিননগর এবং পূর্বে আরেকটি সড়ক গেছে শহরেন জামতলা এলাকায়। এই দুটি পাড়াই ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত।

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ওই দুই পাড়া থেকে হঠাৎ করে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী একযোগে ঝটিকা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে আসার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ বাধে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিছু হটে পাড়ার ভেতর ঢুকে দুই দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ দুই পাড়ার গলির ভেতর ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে ঢুকতে পারেনি। এ সময় পুলিশও মুহুর্মুহু গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে কিছু গাড়ির কাচ ভাঙে।

 

তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কত রাউন্ড গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে, সেটি বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেলের হিসাব করা হচ্ছে। ছয়জন আটক আছে। তিনিসহ আহত কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

জামতলা মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, এক পক্ষের বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল আর পুলিশের গুলি, টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মানুষ দোকানপাট বন্ধ করে যে যেদিকে পারে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে যায়। পুলিশ আসলে বুঝতেই পারেনি বিএনপি এমনভাবে হামলা চালাতে পারে।

 

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস বলেন, বিএনপির ৩০-৪০ জন সড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। পুলিশ এসে তাদের বাধা দিলেই সংঘর্ষ বাধে। তারা দুই দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ