মনজু বিজয় চৌধুরী: আজকে প্রায় ২০ বছর হবে,বাবা রাতে ঘুমানোর আগে শৈলকূপা জনগণ নিয়ে কথা বলে । আমি জিজ্ঞাসা করতাম কী লাভ সারাদিন কষ্ট করে এসে না ঘুমিয়ে গ্রাম নিয়ে ভেবে ? এই ঘটনা আমার ইন্ডিয়া যাওয়ার আগে । আনুমানিক ২০১৬ সালের দিকে হবে, পরিবার থেকে আমাকে ইন্ডিয়া বোর্ডিং স্কুল এ পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল । কাহিনি তে ফেরত যাই , বাবা কিছু বলত না চুপ থাকতেন , মাঝে মাঝে চোখে পানি দেখতাম তার । দাদা-দাদি মারা যাওয়ার পর বাবা এককে ভেঙ্গে পোরেন । গ্রামে আমি আর আমার ভাই
রাহাদ যাওয়া আসা অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় । আমরা অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই সবার থেকে ।
আমার বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবীদ এবং সমাজসেবক এইটুকু বুঝতে পারতাম ।২০২১ সালে আমার উচ্চ বিদ্যালয় স্নাতক শেষ করি এবং আমি দেশে ফেরত আসি, ভাবলাম বাবার সাথে থেকে কাজ শিখি এবং এর পাশাপাশি তার সাথে আমিও গ্রামে আসা-যাওয়া শুরু করলাম । আমার মনে তখন অনেক আনন্দ লাগা ও আগ্রহ জাগা শুরু করলো কিন্তু ভয় ও কাজ করত । মনে মনে এইটাও ভাবলাম যে, বেশ কিছুদিন বাইরে থাকাতে হয়তো গ্রামের লোকজন আমাকে চিনতে পারবে না । কিন্তু কখনও ভাবি নাই যে, শৈলকূপা মানুষরা আমাকে মনে রাখবে । আমার গ্রামে আমি ফেরত গেলে আমাকে এভাবে কাছে টেনে নিবে এটা কখনো কল্পনা করিনি । আসলে তারা মাটির মানুষ । শৈলকূপা মানুষের মুখে হাসি দেখে আমি ভাবলাম শুধু আসছি দেখে এত ভালোবাসা ? নিজেকে প্রশ্ন করলাম, এত বছর ধরে ভাবতাম আমার দাদা দাদি নাই গ্রামে গিয়ে আর কী হবে?
গ্রামে ছোট চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিলে মুরুবি , বড় ভাই , ছোট ভাই তারা কত খুশি হয় । কেমন একটা বন্ধন হওয়া শুরু করে, এই বন্ধন এর কোনও ভাষা নাই , চাইলেও বুঝানো সম্ভব না । আস্তে আস্তে তাদের সাথে মিশে গেলাম । তাদের সুখ দেখলে আমার মন ভরে যায় । দেখলাম ওরা হাসলে আমিও হাসি, তখন ওদের কষ্ট টাও আস্তে আস্তে অনুভব করি এবং নিজেকে বলি আমি এত গুলো ডিগ্রী ওপর পড়ালেখা করে কি লাভটা হলো যদি তাদের পাশে না থাকতে পারি ? যদি আমার গ্রামের মানুষদের হাসি না ফিরিয়ে আনতে পারি ? নিজেকে কথা দেওয়া শুরু করলাম এতগুলা বছর যারা আমাদের জন্য রক্ত , পরিশ্রম , কষ্ট করেছে তাদের পাশে থাকবো ও কারো কষ্ট বৃথা যাবে না ।
মনে আছে একটু আগে বলেছিলাম বাবা কে প্রশ্ন করতাম কেন ভাবো এই মানুষদের নিয়ে? আর সেও চুপ করে থাকত , তার এই চুপ থাকার উত্তর আজ প্রায় ১০ বছর পর বুঝলাম।
আসলে ঘুরে-ফিরে এটাই বলতে হয় ‘আমার জনগণ আমার শক্তি ‘ । এবার জাতীয় নির্বাচনে আমি আমার ভাই পাশে থাকব আমার বাবা আলহাজ্জ নজরুল ইসলাম দুলাল এর পাশে, আমরা মন প্রাণ দিয়ে ঝিনাইদহ-১ কে সুন্দর করে গড়ে তুলব , এবং শৈলকূপা মানুষের হাসি আবার ফিরিয়ে আনবো ইনশা-আল্লাহ । জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ।