প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনের ২১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামি হলেন বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। বিএনপির আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড দেন। তাদের দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও দণ্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে আসামি এমএ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজুর তাদের প্রত্যেকের পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তাদের দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় ছয়মাস ও দণ্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।
মামলায় সাবেক কমিশনার এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সামসুল হক মিয়াজী, মো. বিপ্লব, মো. খুরশিদ আলম মমতাজ, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. মাহাবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
জানা যায়, ৫ নভেম্বর সকালে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই দিনই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech