ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

প্রকাশিত: ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪

ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বাংলাদেশ একঘরে হওয়ার উপক্রম। সরকারের ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। জনগণকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদদে বর্তমান আওয়ামী সরকার নানা কূটকৌশলে গত ৭ জানুয়ারি এক অদ্ভুত ডামি নির্বাচন করে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই আবারো ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব সরকারের ডামি নির্বাচনকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।

 

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

 

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কারামুক্ত সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মাসুম, এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান।

 

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, কুরআনের সবগুলো বিধানই সমাজে কায়েম করা ফরজ। কোনো একটি বিধান অস্বীকার করলে কাফির বলে গণ্য হবেন। অথচ আমাদের দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। এজন্য নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে এ পথে হয়ত আমরা বিজয়ী হবো নতুবা আমাদের জীবন চলে যাবে তবুও এ থেকে আমরা বিচ্যুত হব না।

 

অধ্যাপক মিয়া গেলাম পারওয়ার বলেন, সব জুলুমের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। হাজার হাজার সহযোগী সদস্য যদি ঠিকমতো দাওয়াতি কাজ করে তবে এদেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে যাবে। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করার জন্য আমরা এ কাফেলায় শরিক হয়েছি। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সে পথে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

 

এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ইসলামের আদর্শ দিয়ে মানুষের মন জয় করে বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সরকার আধিপত্যবাদের তাঁবেদারি করতে গিয়ে দেশের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই নিজেদের জান-মালের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে জামায়াতের সহযোগী সদস্যদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

0Shares