প্রকাশিত: ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
শাল্লা প্রতিনিধি :: শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার (বকুল) আর নেই। তিনি অত্র উপজেলার হবিবপুর ইউপির নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত বসন্ত কুমার মজুমদারের ছেলে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১বছর। বিবেকানন্দ মজুমদার স্ত্রী, ২ছেলে ও ১কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
বিপ্রেশ মজুমদার জানান, আমার বাবা (বিবেকানন্দ মজুমদার) স্ট্রোক করেছিলেন এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে বেশ দিন যাবত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আমরা প্রথম বাবাকে মাউন্ট এডোরা হসপিটালে চিকিৎসা দেই। এরপর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) তে ভর্তি থাকাকালীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। এখন সিলেট থেকে বাবাকে আমাদের গ্রামের নিজ বাড়ি (নোয়াগাঁও) নিয়ে যাচ্ছি এবং ঐখানেই শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে।
রাজনৈতিক মহলের নেতৃবৃন্দরা জানান, বিবেকানন্দ মজুমদার (বকুল বাবু) দলিল লিখক অবস্থায় প্রয়াত আন্তর্জাতিক নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। প্রায় একযুগ পূর্বে শাল্লা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বিশ্বস্ত ও দক্ষতার সহিত মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তারপর উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিবেকানন্দ মজুমদার (বকুল)-এর মৃত্যুতে এলাকার সর্বমহলে শোকের মাতম দেখা দিয়েছে এবং শেষবারের মতো দেখতে উনার বাড়িতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech