মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দখলের চেষ্টা, দুবৃত্তদের হামলায় আহত ১

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪

মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দখলের চেষ্টা, দুবৃত্তদের হামলায় আহত ১

ডায়ালসিলেট ::  সুনামগঞ্জের জেলার জগন্নাথপুরে মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুবৃত্তদের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছেন।

 

শনিবার (১৭ই জানুয়ারী ২০২৮ইং) সকাল ৯ ঘটিকার সময় পৌর এলাকার হরিহরপুর জামে মসজিদের ও মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

 

এসময় সংঘর্ষে গুরুতর আহত মসজিদের মোতাওয়াল্লীর ভাতিজা হাফিজ তারিকুল ইসলামকে (২৭) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত আব্দুল করিমের ছেলে এলাকার চিহ্নিত বখাতে নামে পরিচিত মুহিত মিয়া ও তার দল নিয়ে জোরপূর্বকভাবে মসজিদ ও মাদ্রাসার সামনে খালি জায়গায় লেট্রিন তৈরী করতে গেলে এসময় মসজিদের মোতাওয়াল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরসহ এলাকার লোকজন সেখানে বাধা দেয়। এসময় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুহিত মিয়া মসজিদের মোতাওয়াল্লী আব্দুল কাদিরকে আঘাত করতে গেলে এসময় উপস্থিত থাকা তার ভাতিজা হাফিজ তারিকুল ইসলাম সামনে এগিয়ে আসলে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়।

 

 

এসময় গুরুতর আহত হাফিজ তারিকুল ইসলামকে (২৭) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষে  আহত ৫জন  হলেন আব্দুল কাদির, মাওলানা রুহুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ উসামা, মুজাহিদ ইসলাম।পরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুহিত মিয়াসহ তার লোকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

 

মাওলানা রুহুল ইসলাম জানান, হরিহরপুর মাদরাসা ও মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মরহুম মুন্সী আব্দুর রশীদ। তার মৃত্যুর পর পুত্র মৌলভী আব্দুল কাশেম এলাবাসীদের নিয়ে মাদরাসা ও মসজিদ পরিচালনা করে আসছিলেন। হরিহরপুর জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মুহিত মিয়ার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মসজিদ ও মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তার প্রতিপক্ষ মুহিত মিয়া আধিপত্য বিস্তার করতে মসজিদ ও মাদরাসা দখলের পায়তারা করে আসছিল।

 

 

এনিয়ে আলেম উলামা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মুহিত ও তার লোকদের সাথে একাধিকবার বৈঠক হলে তা বৈঠকের মাধ্যমে মসজিদের মোতাওয়াল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির এর পক্ষে নিস্পত্তি হয়। তারপরও মুহিত মিয়ার লোকজন জোরপূর্বক মসজিদের খালি জায়গায় লেট্রিন তৈরী করতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

 

এঘটনায়  বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বাদী হয়ে  মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মুহিত মিয়াকে প্রধান আসামী করে জগন্নাথপুর থানা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১০। মুহিত মিয়া পলাতক থাকায় এখনও পুলিশ তাকে আটক করতে পারিনি।

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ