প্রকাশিত: ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খুজ মিলছেনা কর্মচারী মিনহাজের। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।
গত ৩রা আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে তার ঋণের টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি এবং অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকার মত ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন।
তার অনুপস্থিতির কারণে এখন ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এ নিয়ে সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে চলছে তোলপাড় । ইতিমধ্যে এ বিষয়গুলো নিয়ে কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জানিয়েছে। মিনহাজ সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল।
কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত।
তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে। আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে জামিনদার হিসেবে রাখেন মিনহাজ। এছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের সমিতি থেকেও ঋণ নিয়েছে সে।সবগুলো মিলিয়ে ব্যাংক ও সমিতি’র ঋণ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের অনেকের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে সে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে।
এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে এখন মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম। এজন্য অনেক কর্মচারিরা বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।
লাপাত্তা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। সে যখন লাপাত্তা হয় তখন জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না। মিনহাজ কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।
তবে মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রী রয়েছে তার মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানা যায়।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech