জেন্ডার সমতা ও বাল্যবিবাহ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৪

জেন্ডার সমতা ও বাল্যবিবাহ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ইউনিসেফের সহায়তায় শিশু ও কিশোর কিশোরীদের কল্যাণ, অধিকার এবং ক্ষমতায়নে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন, সিলেটে একটি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এনজিও সংগঠন ‘সুশীলন’।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বাল্যবিবাহ বন্ধ, শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, ইপিআই টিকাদান কভারেজ বাড়ানো, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, পুষ্টি শিক্ষা এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চারপাশের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তা মোকাবেলায় ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে পরিবার ও কমিউনিটিকে সক্রিয় করা।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৯ মে বুধবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন হল রুমে জেন্ডার সমতা, বাল্যবিবাহ এবং সামাজিক আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদ ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশিক নূর। বক্তব্য রাখেন্রওে ইউনিসেফ সিলেট অফিসের কনসাল্টেন্ট শেখ আলী হায়দার আজম, সুশীলন-এর সিলেটের প্রকল্প সমন্বয়কারী, মোঃ আলমগীর মিয়া, উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ সাইফুল হাসান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক তপন কান্তি ঘোষ, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক, জেলা প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত এরশেদ, জেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মোঃ লায়েছ মিয়া তালুকদার, শাহ পরান থানার সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন, মা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শামসুর নাহার, প্রমুখ।

সভায় বক্তারা জানান, পৃথিবীর যে কয়টি দেশে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। দেশে বেশিরভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১২-১৮ বছরের মধ্যে। বিয়ের ১৩ মাসের মধ্যেই শতকরা ৬৫ জন নারী সন্তান ধারণ করেন। গ্রামের নারীদের বেশিরভাগই বিয়ের এক বছরের মধ্যে সন্তান জন্ম দেন।

বাল্যবিবাহের অধিকাংশ কারণ হচ্ছে- দরিদ্রতা, সচেতনতার অভাব, প্রচলিত প্রথা ও কুসংস্কার, সামাজিক অস্থিরতা, মেয়েশিশুর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নিরাপত্তার অভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধ-সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া। বাল্যবিবাহের কারণে অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণ, মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যহানী, তালাক, পতিতাবৃত্তি, অপরিপক্ব সন্তান প্রসবসহ নানাবিধ জটিলতার শিকার হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ