১৫ বছর বয়সী এক বালিকার হাতে ভাই ও পিতা খুন

প্রকাশিত: ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৪

১৫ বছর বয়সী এক বালিকার হাতে ভাই ও পিতা খুন

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: প্রায় দু’মাস পরে ভারতের ১৫ বছর বয়সী এক বালিকা তার আট বছর বয়সী এক ভাই ও তার পিতাকে হত্যা করেছে । এরপর পিতা ও ভাইয়ের মৃতদেহ একটি ফ্রিজে রেখে পালিয়েছিল। এ ঘটনার কমপক্ষে দু’মাস পরে সন্দেহজনকভাবে পুলিশ তাকে আটক করেছে । এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

জানা যায়, মধ্যপ্রদেশে ওই বালিকা তার পিতা ও এক ভাইকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রেখে পালায়। কিন্তু বুধবার হরিদ্বারের পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশের মতে, ওই বালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে। সেই সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না তার পিতা। এর ফলে ওই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সে তার পিতাকে হত্যা করে। তারপর লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে।

এমন সময় ঘুম থেকে জেগে যায় তার আট বছর বয়সী ভাই এবং সে দেখে ফেলে। ফলে তাকে হত্যা করে তারা। এরপর বাড়ির বাইরে তালা মেরে পালিয়ে যায়।

এমন অবস্থায় ওই বালিকার বাড়িতে ১৫ই মার্চ সকালে যায় পুলিশ। তখনই এই ডাবল মার্ডারের কাহিনী সামনে আসে। পুলিশ এদিন ওই বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ফ্রিজ থেকে তার পিতা ও ভাইয়ের টুকরো টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে।

এবিষয়ে ভারতের হরিদ্বারের এসএসপি পারমেদ্রা দোভাল বলেন, ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে হরিদ্বারের ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল ওই বালিকা। এ সময় পুলিশ দেখে তারা সরে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের নজর পড়ে যায় তাদের দিকে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এটাই ওই বালিকা।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই বালিকা জানায় যে, পিতা ও এক ভাইকে মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে হত্যার জন্য দায়ী সে। এ নিয়ে পুলিশ যোগাযোগ করে জাবালপুর পুলিশের সঙ্গে। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপরই আটক করা হয় ওই বালিকাকে। তাকে জাবালপুর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

অন্যদিকে এই হত্যাকাণ্ডের আগেই ১৯ বছর বয়সী কিশোরের বিরুদ্ধে ওই বালিকা গত বছর একটি অভিযোগ দিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা আছে প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইনে।

এ অভিযোগে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সে জেল খাটে। পরে জামিনে মুক্তি পায়। ডাবল মার্ডারে তার ভূমিকা আছে এমনটা মনে করে পুলিশ। পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায় ঘটনার সময় তারা দু’জন একসঙ্গে ছিল। হত্যার পর তাদেরকে দেখা যায় মদন মহল রেলস্টেশনে। সেখানে তারা বিভিন্ন যানবাহন পরিবর্তন করে একটি অটোরিকশা নেয়। ছুটে যায় বাসস্ট্যান্ডের দিকে। এরপর জাবালপুর থেকে পালাতে একটি বাসে উঠে বসে। সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

0Shares