প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২৪
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে চাঞ্চল্যকর শাহাজাহান কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি রাজুকে মহেশপুরের খালিশপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কাজল শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে। তিনি বলেন , রাজুর স্ত্রীর ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতেই তিনি শাহজাহান আলী কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন।
রাজু যশোরের চৌগাছা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় আসামি রাজু ঝিনাইদহ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াদ হাসানের আদালতে গত বৃহস্পতিবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান।
জবানবন্দিতে আসামি রাজু বলেন, তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। কবিরাজ হওয়ার সুবাদে শাহজাহান আলীকে তিনি দাদু বলে ডাকতেন। ভালো সম্পর্ক হওয়ায় মহেশপুরের বামনগাছার বেলেমাঠ গ্রামে শাহাজানের বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল তার।
গত ৮ই মে স্ত্রীকে নিয়ে শাহজাহান কবিরাজের বাড়িতে যায়। সেখানে ২/৩ দিন থাকার পর চলে আসতে চাইলে দাদু বলেন, তোর দাদি তো অসুস্থ। তোর বউকে কয়েক দিনের জন্য রেখে যা। আমাকে রান্নাবান্না করে খাওয়াবে। দাদুর কথা অনুযায়ী আমি স্ত্রী ও তিন বছরের বাচ্চাকে তার কাছে রেখে ঢাকায় চলে আসি।
গত ১৫ই মে রাত ১০টার দিকে আমার স্ত্রীকে মোবাইলফোনে কল করি। সে ফোন রিসিভ করেননি। পরে দাদু শাহজানকে কল করি। তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। ঐদিন রাত প্রায় ৩টার দিকে স্ত্রীকে ফোন করলে সে রিসিভ করে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগে এবং স্ত্রী জানায়, দাদু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। পরদিন স্ত্রী বাচ্চাকে নিয়ে সে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে।
পরদিন ঢাকা থেকে রাজু বাড়ি ফিরে মামলা করতে চাইলে স্ত্রী নিষেধ করে মামলা না করতে তাতে মান সম্মান যাবে।
ঠিক ২৮শে মে (বুধবার) রাতে চাচাতো ভাই রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে আমি দাদু শাহাজানের বাড়িতে হাজির হয় এবং রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাত আড়াইটার দিকে দাদুর ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে আসি।
বৃহস্পতিবার (৬ই মে) দুপুরে সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড রিয়াদ হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি রাজু শাহাজাহান ফকিরকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech