সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানী জুড়ে ব্লকেডে গতকাল অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিকালে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর পথ-প্রান্তর।গতকাল ঢাকায় প্রথম বারের মতো এক ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করা হয়। সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

 

 

দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখ লাখ শিক্ষার্থী কোটা আন্দোলনের ‘বাংলা ক্লকেড’ কর্মসূচিতে রাস্তায় নেমে আসে। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশ কোটা বিরোধী আন্দোলনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কোটা আন্দোলনকারীরা আজ ক্লাস- পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘটন কর্মসূচি পালন করবে।

 

 

 

এদিকে, ঢাকা ছাড়াও কোটা বিরোধীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ সময় তারা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সারাদেশে অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ করা হবে। বুধবার সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষিত হবে।

 

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অর্ধবেলা ব্লকেডে আমরা থেমে থাকবো না। আমরা একটি সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনা করছি। আগামীকাল (আজ) আমরা সারা দেশে ও ঢাকা শহরে শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় ও গণসংযোগ করবো। পরে বুধবার আমরা কঠোর কর্মসূচি দেবো। কিন্তু আমাদের যে চলমান ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘটের কর্মসূচি চলবে। আমরা ব্লকেড প্রত্যাহার করছি না। বরং সর্বাত্মক ব্লকেডের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) বিকালে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা আমাদের বুধবারের কর্মসূচি জানিয়ে দেবো।

 

 

 

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্লকেডের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিন। তিনি বলেন, চার দফা দাবির পরিবর্তে একদফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। যেখানে আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। এটা করার দায়িত্ব কেবল নির্বাহী বিভাগ ও সরকারের। ফলে বল এখন সরকারের কোর্টে। এখন আর আদালত দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।

 

 

 

সরকারই ঠিক করতে পারে, এই আন্দোলনের গতিপথ কী হবে। নাহিদ বলেন, আমরা ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছি। চেয়েছিলাম এই আন্দোলন যাতে দীর্ঘমেয়াদি না হয়। তাই এতদিন আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক কমিটি ঘোষণা করিনি। কিন্তু দাবি আদায় না হলে আমরা মাঠে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সারা দেশে প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা এই টিম গঠন করেছি। আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা আজকে মন্ত্রীর কথায় মর্মাহত হয়েছি। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের মধ্যে এনে আমাদের হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে, অন্ধকে হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে।

 

 

আপনারা আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমরা ফিরে যাওয়ার জন্য রাজপথে আন্দোলনে নামি নাই। আমরা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আপনারা দায়িত্বশীলরা সহজ বিষয়কে ঘোলা করছেন। আপনাদের জন্যই শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। আপনাদের ওপর আমরা আস্থা হারাচ্ছি।

 

 

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের যেকোনো ক্ষতির দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। কেউ আহত হলে অসুস্থ হলে তার দায়ভার আপনাদের ঘাড়ে বর্তাবে। আমরা রাস্তায় থাকবো আর আপনারা এসে রুমে বসে রায় দেবেন তা আমরা মেনে নেবো না। অতি দ্রুত আপনারা আমাদের সঙ্গে সমন্বয় না করেন তাহলে বুঝবো আপনারা ছাত্র সমাজের পার্লস বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

 

 

 

0Shares