আমাকে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করে, একপর্যায়ে অজ্ঞান হারিয়ে ফেলি – নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২৪

আমাকে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করে, একপর্যায়ে অজ্ঞান হারিয়ে ফেলি – নাহিদ ইসলাম

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম । ডিবি পরিচয়ে কোন একটি ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনী’ তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে রাষ্ট্রীয় বাহিনীরা। এ কারণে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নাহিদ বলেন, “আঘাতের কারণে আমার দুই কাঁধ ও বাম পায়ের রক্ত জমাট বেঁধে আছে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে আমাকে”।

আন্দোলনে আমি যাতে নেতৃত্ব বা নির্দেশনা দিতে না পারি সে কারণেই হয়তো আমাকে তুলে নিয়ে এ ধরনের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে তারা।

উলেখ্য, গত ২০ই জুলাই শুক্রবার মধ্যরাতে নন্দীপাড়ার এক বন্ধুর বাসা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে শনিবার এক গণমাধ্যমেকে জানান তার বাবা বদরুল ইসলাম।

রোববার সেখান থেকে মুক্ত হওয়ার পর নাহিদ ইসলাম জানান, তুলে নিয়ে যাওয়ায় সময় ওই বাসার নিচে পুলিশ ও বিজিবির গাড়িসহ তিন-চারটি গাড়ি ছিল। সেখানে থাকা একটি প্রাইভেট কার বা মাইক্রোতে তাকে ওঠানো হয়। সে সময় তিন থেকে চার স্তরের কাপড় দিয়ে আমার চোখ বাঁধা হয় এবং হ্যান্ডকাফ পড়ানো হয়। কিছু সময় পর গাড়ি থেকে নামিয়ে আমাকে একটি বাড়ির রুমে নেওয়া হয়। আমাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরবর্তীতে আমার উপর মানসিক ও শারীরিক টর্চার শুরু করা হয়। এর এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপর আমার কোন স্মৃতি নাই।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “রোববার ভোরে চারটা থেকে পাঁচটার দিকে পূর্বাচল এলাকায় আমার জ্ঞান ফেরে। পরে আলো ফুটলে কিছু দূর হেঁটে একটি সিএনজি নিয়ে বাসায় চলে আসি।

রোববার দুপুর ১২টায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তিনি। আঘাতের কারণে তার দুই কাঁধ ও বাম পায়ের রক্ত জমাট বেঁধে আছে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

0Shares