রিক্সাচালক-ফ্রিল্যান্সার-কম্পিউটার দোকানদার বাসাবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

প্রকাশিত: ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৪

রিক্সাচালক-ফ্রিল্যান্সার-কম্পিউটার দোকানদার বাসাবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: গতকাল বুধবার স্বামী, সন্তান ও ভাইয়ের খোঁজে স্বজনদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে। তাদের সকলের একটাই অভিযোগ রাতে বাসাবাড়ি থেকে তুলে এনেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নিউমার্কেট থেকে গ্রেপ্তার হওয়া রিক্সাচালক, ফ্রিল্যান্সার, কম্পিউটারের দোকানদার রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। দোকান বন্ধ করতে পাঁচটা দুই মিনিট বেজে যায়। দুই মিনিট দেড়ির কারণে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় গেলে পুলিশ কোর্টে যেতে বলে। সকাল ১০টার দিকে কোর্টে এসে এখনো খোঁজ পাইনি অনেকে। কোর্ট প্রাঙ্গনে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যারা তাদের ভাই, স্বামী ও সন্তানের খোঁজে আদালত পাড়ায় এসেছেন।

দেখা যায়, যখননি পুলিশের ভ্যান আসে সেখানেই তাদের স্বজনরা ভীড় জমান তাদের ভাই, স্বামী ও সন্তানকে আনা হয়েছে কিনা। সকাল থেকেই পুলিশ ভ্যান ভর্তি আসামিদের আদালতে আনা হয়। সে সময় থেকে স্বজনরা অপেক্ষমান রয়েছেন। নাম উল্লেখ করে স্বজনরা চিৎকার করে ডাকতে থাকেন। নাম উল্লেখ করা ব্যক্তি পুলিশ ভ্যানে থাকলে ‘আমি আছি’ বলে সাড়া দেন। স্বজনদের ডাকে যারা সাড়া দেন ওইসব স্বজনদের চোখে মুখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। তবে যেসব স্বজনের ডাকে পুলিশ ভ্যানে থাকা প্রিয় মানুষটির কোনো সাড়া পান না, তাদের কান্না করতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বিনা কারণে নিরীহ মানুষকে ধরে আনছে। যারা আন্দোলন করে নাই, কোনো মিছিল মিটিংও করে নাই। সন্দেহ করে পুলিশ নাগরিকদেরকে হয়রানি করে।

তবে, আইনে বলা আছে কাউকে আটকের ২৪ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করতে হয়। কিন্তু পুলিশ এই আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো আদালতে সোপর্দ করে। ডা সত্যিই বেআইনী।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ