সিটিজেন মুভমেন্ট সেমিনারে – বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করা হবে – লর্ড কোরবান হোসেন

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৪

সিটিজেন মুভমেন্ট সেমিনারে  – বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করা হবে – লর্ড কোরবান হোসেন

সোহেল আহমদ ‍ ::  বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি গুলি ব্যবহারের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লর্ড কোরবান হোসেন।

 

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা পর্যালোচনা করছি । বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির এসব বিষয় নিয়ে আমরা ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করবো।

গত সোমবার ২৯ শে জুলাই লন্ডনের মানবাধিকার সংগঠন সিটিজেন মুভমেন্টের উদ্যোগে ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের দমন নিপীড়ন বন্ধে ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়। এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে প্রশ্ন করেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লর্ড কোরবান হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সিটিজেন মুভমেন্টের সভাপতি এম এ মালিক এর সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন  সাবেক ব্রিটিশ এম পি সায়মন ডানসাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড.হাসনাত এম হোসেন এমবিই , বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাহিদুর রহমান, সাপ্তাহিক সুরমার সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক , টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলর সাবেক ডেপুটি মেয়র ওহিদ আহমেদ।

 

এ ব্যাপারে সিটিজেন মুভমেন্ট এর সভাপতি এম এ মালিক বলেন, বাংলাদেশ আজ ধ্বংসের পথে। বর্তমান সরকারের অধীনে সাধারণ মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসুচী পালন করতে গেলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, রাবার বুলেট ছুড়ে, গুলিও করে।

 

 

তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে ২২জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের উপর সরকার দলীয় পুলিশ বাহিনী বাসা-বাড়িতে গিয়ে নির্মমভাবে নীরিহ মানুষদেরকে গুলি করে হত্যা করছে। রাস্তায় শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করেছে গণহত্যা চালিয়েছে। সেখানে ডাকে পাচ্ছে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।   গণগ্রেফতার, মামলা দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করছে।

 

 

আজ বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, ১০ হাজারেরও বেশী মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ৩‘শ এর কাছাকাছি। ৭ বছরের কোমলমতি শিশুর কি দোষ ছিল? সেও তো রেহায় পাইনি পুলিশের গুলি থেকে। আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

 

সাবেক ব্রিটিশ এম পি সায়মন ডানসাক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ে বাংলাদেশের মানুষ যে ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে, তা দেখে আমি স্তম্ভিত। বাংলাদেশে চলমান এ সহিংসতায় আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করছে যা দেখে খুবই কষ্ট লেগেছে। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ তাই আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কামাল উদ্দিন, আবেদ রাজা, নাসির আহমেদ শাহীন,খসরুজ্জামান খসরু, কে আর জসিম,আহমেদ সাদিক,আনোয়ার হোসাইন টিপু, রাকেশ রহমান, সাদিক হাওলাদার, সরফরাজ শরফু, ডালিয়া লাকুরিয়া, অঞ্জনা আলম, রিতু রহমান, তাসলিমা তাজ,  শামীম আহমেদ,  ইমতিয়াজ এনাম তানিম,  অ্যাডভোকেট তাসলিমা খাতুন চৌধুরী,গাজী রফিক, মঞ্জুর হোসাইন।

 

 

সিটিজেন মুভমেন্ট সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এম আরিফ আহমেদ, শিবলী সহিদ, গিয়াস উদ্দীন, মোঃ মঈনুল ইসলাম,  সাংবাদিক সোহেল আহমদ, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ , ব্যারিষ্টার জাকির হাসান, তোতা সরকার , সাইদ হোসেন, সুমাইয়া সালসাবিল, মো.মিনহাজুল আবেদিন রাজা, বেলাল খান, মো.রুমেল আলী, উজ্জ্বল চৌধুরী,  আরিফুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, নাজমুল চৌধুরী, এম এ রব, মোহাম্মদ রবিউল্লাহ, মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান, সায়েদ আবু বকর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট সুফিয়া পারভীন, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জিলানী, মুন্না আহমেদ, রাইনা আফরোজ, রোহান তারিক, সায়েদ কবির হোসাইন, মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম,ওমর ফারুক, পাবেল আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুর রহমান,মোহাম্মদ আশিক আমিন মজুমদার,আবু সালেহ, নন্দন দে,মোহাম্মদ নুরুল আলম সিদ্দিকী,আমিনুল ইসলাম,কাজী মাসুদ হাসান, অ্যাডভোকেট ওবাইদুল হক,পল্লব,হাসান জাবেদ, মিনাজুল আলম মামুন,রফিকুল ইসলাম, আদিল আহমদ প্রমুখ।

 

 

উলেখ্য, বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের দাবিতে  রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগনদের উপর বাংলাদেশ সরকারের বর্বরোচিত হামলার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, জনসাধারণ গ্রেফতার হয়েছেন। এতে নিহত হয়েছেন ৩‘শ এর বেশি । মামলা করা হয়েছে ৫৫০ টি ।

 

 

আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা-মামলা, আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

 

 

0Shares