তোফাজ্জলকে তিন দফায় মারধর করা হয় , এতে অন্তত ১৫ জন অংশ নেন

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

 

 

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে তোফাজ্জল হোসেনকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন আজ শুক্রবার বিকেল থেকে এই ছয় শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টসূত্র থেকে জানা যায়, ছয় শিক্ষার্থীর জবানবন্দি অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ জন অংশ নেন তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডে। সবার নাম প্রকাশ করেছেনতাঁরা। শিক্ষার্থীরা বলেছেন,তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে তিন দফায় মারধর করা হয়।

আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, সুমন মিয়া, মো. জালাল মিয়া, আল হুসাইন সাজ্জাদ,মো. মোত্তাকিন সাকিন, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এরা সবাই ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ছয় শিক্ষার্থীর সবাই বলেছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছাত্রদের ছয়টি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছিল। তোফাজ্জল সেদিন রাত আটটার দিকে হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে আবার তাঁকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

তিন ধাপে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধর করেন । জবানবন্দিতে ঐ ছয় শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার নাম প্রকাশ করেছেন। আসামিরা বলেন, সেদিন অতিথিকক্ষে মারধরের পর রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁরা জানতে পারেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল মারা গেছেন।

 গতকাল ফজলুল হক হল থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

 

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ