প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রুদ্ধে অভিযানের নামে গাজাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ফেলেছে। ইসরাইলি সেনারা এখন একই সঙ্গে দুটি স্থানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। একটি গাজায়। অন্যটি লেবাননে। বহু দশকের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি। এরআগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। জাতিসংঘের রেজ্যুলুশন ১৭০১ এর অধীনে এই যুদ্ধ শেষ হয়। লেবাননের দক্ষিণ থেকে সদস্যদের প্রত্যাহার করে হিজবুল্লাহ। এরপর ইরানের সমর্থন নিয়ে শক্তিশালী হতে থাকে হিজবুল্লাহ।
পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটার দিকে ইসরাইলজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। বাজানো হয় সাইরেন। এক কোটি ইসরাইলি দৌড়ে গিয়ে বোমা বিষয়ক আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। হামলা বন্ধ করার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। এতে যুদ্ধ আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। আইডিএফ বলেছে, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অল্প কিছু সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কেন্দ্রস্থলে এবং দক্ষিণে আঘাত করেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তারা মুখ খোলেনি। এই হামলা ইরানের সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। তবে তারা এর মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানোর দৃশ্যত কোনো বাসনা পোষণ করেনি।
হিজবুল্লাহর ভয়াবহ ক্ষতি সত্ত্বেও তারা লেবাননে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। ইতিহাস বলে যে, লেবাননে প্রবেশ করা ইসরাইলের জন্য সহজ। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। ইরানের হামলার জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। ফলে মঙ্গলবার থেকে ওই অঞ্চল এবং বিশ্ব আতঙ্ক নিয়ে তাকিয়ে আছে। প্রতিশোধ নেয়া হিসেবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা অথবা তেল বিষয়ক স্থাপনাকে টার্গেট না করতে ইসরাইলকে উৎসাহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছেন। তিনি দৃশ্যত ইরানের শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন চান।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech