জাতীয় দলের খেলা রেখে নৈশক্লাবে এমবাপ্পে, মুখ খুললেন সতীর্থরা

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২৪

জাতীয় দলের খেলা রেখে নৈশক্লাবে এমবাপ্পে, মুখ খুললেন সতীর্থরা

স্পোর্টস ডেস্ক :গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাল বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। চোটের কারণে সেরা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে রাখেননি ফ্রান্সের কোচ। যদিও এ সময়টায় এমবাপ্পে নিজের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে নামেন যথারীতি। জাতীয় দলের প্রতি নিবেদনের প্রশ্নে এমনিতেই আলোচনায় ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ফ্রান্সের খেলা বাদ দিয়ে নৈশক্লাবে মত্ত থাকার অভিযোগ। তবে এসব বিতর্কে ফরাসি অধিনায়কের ঢাল হয়েছেন তার সতীর্থরা। বরং তিলকে তাল করে তোলায় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা সংবাদমাধ্যমকে।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় গত মাসে পেশির চোটে পড়েন এমবাপ্পে। তবে যতটা সময় তাকে বাইরে থাকতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, এর আগেই মাঠে ফিরে আসেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লীগ ও লা লিগার ম্যাচে রিয়ালের হয়ে মাঠে নামেন। অথচ এর আগেই ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম তাকে জাতীয় দলের বাইরে রাখেন। প্রস্তুতির ঘাটতি ও পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য সময় দিতে নেশন্স লীগে ইসরাইল ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে নিয়মিত অধিনায়ককে রাখেননি কোচ।এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় প্রবল। দেশের চেয়ে ক্লাবকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এখন থেকে জাতীয় দলের হয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় খেলবেন বা বেছে বেছে ম্যাচ খেলবেন এমবাপ্পে, এমন গুঞ্জনও চলছে।

এর মধ্যেই সুইডিশ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ইসরাইলের সঙ্গে ফ্রান্সের ম্যাচের সময়টায় সুইডেনের এক নৈশক্লাবে দেখা গেছে এমবাপ্পেকে। এতে যেন সমালোচনার আগুনে ঘি পড়ে আরও।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এমবাপ্পের নৈশক্লাবে যাওয়ার প্রসঙ্গেই প্রশ্ন ছুটে গেল ভেসলে ফোফানার কাছে। ফ্রান্সের এই ডিফেন্ডার বললেন, তাদের অধিনায়কের মাঠের বাইরের এসব কিছু কোনো প্রভাব ফেলেনি দলে।
ফোফানা বলেন, ‘ফাঁকা সময়টায় যার যা ইচ্ছা, করতেই পারে লোকে। এই ব্যাপারটি (এমবাপ্পের নৈশক্লাবে থাকা) নিয়ে আজকে আমাদের দলে কোনো কথাই হয়নি। আমি এসবের কিছুই শুনিনি।’চেলসির এই তরুণ ডিফেন্ডার বরং পাল্টা তির ছুড়লেন সংবাদমাধ্যমের দিকেই। বলেন, ‘তার (এমবাপ্পে) যেটা ইচ্ছা সে করতেই পারে। সে দারুণ এক ছেলে এবং খুবই পেশাদার। আমরা কি ব্যাপারটাকে একটু বেশিই বড় করে দেখছি? জানি না।’
ফোফানা বলেন, ‘সে ফ্রান্সের সেরা ফুটবলার। তাকে নিয়ে এসব প্রচার বেশিই হবে। তবে আমার মনে হয়, কখনও কখনও সংবাদমাধ্যম একটু বেশিই করে ফেলে। যাহোক, আরও কিছু জানতে চাইলে কিলিয়ান এমবাপ্পেকেই জিজ্ঞেস করতে হবে।’

এমবাপ্পের ওপর প্রবল আস্থার কথা বললেন তার আরেক সতীর্থ মিডফিল্ডার মাতেও গেন্দুজি। তিনি বলেন, ‘কিলিয়ানকে নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সংশয় নেই, (দেশের প্রতি) তার নিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে দেশকে ভালোভাবে, আমাদেরকে সহায়তা করেই যাবে সে। অন্য সব ব্যাপার নিয়ে বেশি কথা বলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে আমাদের। সে ছুটিতে আছে। এই সময়ে যা খুশি করতেই পারে।’

0Shares