রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণবিরোধী ও ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের জানমালের তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু এখন তো জনসমর্থিত সরকার। একটি গণবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরে এ সরকার এসেছে। এ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের উচিত ছিল ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া। সরকারের উপদেষ্টারা নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে যে আরও তৎপর হওয়া দরকার তেমনটি পরিলক্ষিত হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ইতিমধ্যে সরকারিভাবেই ২০০ অধিক মানুষ মারা গেছেন ডেঙ্গুতে এবং প্রতিদিন ১০ জন ১২ জন করে মারা যাচ্ছেন। এটি প্রতিরোধের জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। এখন তো আর শেখ হাসিনার আমল না। তারা ছিল হরিলুটের সরকার।

তিনি বলেন, যেকোনো মহামারি থেকে মানুষের জীবনকে বাঁচাতে হবে। সেবিষয়ে আমাদেরকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এটি যদি না করা যায় তবে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

রিজভী জানান, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম সমন্বিত চিকিৎসক টিম ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় দলের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার ততটুকু তারা করেছেন। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার লড়াইয়ে যারা হতাহত ও শহীদ হয়েছেন তাদের ও তাদের পরিবারের নীরবে নিভৃতে খোঁজ-খবর রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকঢোল পিটাননি।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকার দুই মহানগরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসা সেবা ও রক্তের জন্য হট লাইন এবং ওয়েবসাইট চালু করে বিএনপি। ওয়েব সাইটে ব্লাড ডোনারদের নাম্বার দেয়া আছে, যাদের প্রয়োজন হবে ফোন দিলেই ডোনাররা সেখানে চলে যাবে। এ কার্যক্রম যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যাবে বিএনপি।